টুকরো খবর
টিকা সত্ত্বেও জলাতঙ্ক বাড়তে থাকায় উদ্বেগ
টিকা রয়েছে। তবু জলাতঙ্ক কমছে না পশ্চিমবঙ্গে! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ২০১১ সালে দেশে জলাতঙ্কে ২২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই মারা গিয়েছেন ৭৩ জন। তালিকায় দ্বিতীয় অন্ধ্রপ্রদেশে জলাতঙ্কে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৫। টিকার জোগান থাকা সত্ত্বেও বহু ক্ষেত্রেই এই রোগ আটকানো যাচ্ছে না কেন, তা নিয়ে খোদ জলাতঙ্ক বিশেষজ্ঞেরাই বিভ্রান্ত। জলাতঙ্ক এমন একটা রোগ, যার সংক্রমণ হলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য। কারণ, জলাতঙ্কের টিকায় রোগ প্রতিরোধ হয় মাত্র, রোগ হলে তা সারে না। তাই এই রোগ প্রতিরোধে টিকার গুরুত্ব অপরিসীম। জলাতঙ্ক বিশেষজ্ঞদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ র্যাবিস’ সম্প্রতি কলকাতায় এক আলোচনাসভায় টিকা দেওয়া সত্ত্বেও কেন জলাতঙ্ক বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ‘র্যাবিস’ বা জলাতঙ্ক বাড়ার জন্য সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসকদের একাংশের অসতর্কতাকেও দায়ী করেছেন র্যাবিস বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা বলছেন, কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর কামড়ালে ওই রোগ হয়। কিন্তু কামড় খাওয়ার পরে অনেকেই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন না। যখন হুঁশ ফেরে, তখন টিকার সময় পেরিয়ে যায়। জীবজন্তুর কামড়ে কতটা ক্ষত হলে কতটা প্রতিষেধক দেওয়া দরকার, অনেক চিকিৎসকই তা ঠিকমতো জানেন না বলে মন্তব্য করা হয় আলোচনাসভায়। পশ্চিমবঙ্গে জলাতঙ্কে মৃত্যু যে বেশি, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস পরোক্ষে তা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে বেশি মানুষ চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের উপরেই নির্ভরশীল। ফলে মৃত্যু হলে তার খবর নথিভুক্ত হয়। কুকুর-বিড়ালের কামড়ানোর ঘটনাও বেশি।”

এড্স সংস্থায় সিবিআই তদন্তের দাবি
রাজ্য এড্স নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (স্যাক্স) এবং মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনে দুর্নীতির যে-অভিযোগ উঠেছে, তার সিবিআই তদন্ত দাবি করল তৃণমূল সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি জানায় তারা। দিন দুয়েক আগে কংগ্রেস সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনালিস্টিক ডক্টরস ফোরাম থেকে বেশ কিছু সদস্য প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দিয়েছেন। এত দিন যিনি ওই ফোরামের রাজ্য সম্পাদক ছিলেন, সেই অভিজিৎ ভক্ত এখন তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের সহ-সভাপতি। তিনি এ দিন সংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, “এখন একমাত্র এই প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে থেকেই স্বাস্থ্যের উন্নয়নে প্রকৃত কোনও কাজ করা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন একমাত্র নেত্রী।” কংগ্রেসের উপরে হঠাৎ এই বিতৃষ্ণা কেন? অভিজিৎবাবু বলেন, “কংগ্রেসের নেতারা কোনও দিন আমাদের কথা ভাবেননি। আমরা সংগঠন ছেড়ে দিচ্ছি জেনেও প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো নেতারা বলেছিলেন, তাঁরা এর পরোয়াকরেন না।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের কাছে এ দিন এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমাদের শাখা সংগঠন হল ডক্টরস সেল। ন্যাশনালিস্টিক ডক্টরস ফোরামের ভূমিকা গৌণ। ফলে ওই সংগঠন থেকে কেউ চলে গেলে আমাদের কিছু যাবে-আসবে না।”

চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ
চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পূর্বস্থলীর দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুড়ি গ্রামের রিঙ্কু ঘোষ। শুক্রবার দুপুরে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু তারপরে রবিবার মধ্য রাতে সেই শিশুটি মারা যায়। রিঙ্কুদেবীর স্বামী বালকনাথ ঘোষ বলেন, “আমার ছেলের কোনও রোগ ছিল না। তিন কেজি ওজনও হয়েছিল। রবিবার রাত ১২টার সময় সে দুধ খেয়েছিল। তারপরে মাঝরাতে আয়া এসে আমার স্ত্রীকে বলে যে, ছেলে মারা গিয়েছে।” তিনি বলেন, “ওই আয়া এবং সেই রাতে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের অন্য চিকিৎসাকর্মীদের গাফিলতিতেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।” তিনি বলেন, “হাসপাতাল থেকে জানিয়েছে, ছেলের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে। কিন্তু কী করে তা হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। যে ডাক্তারবাবু দায়িত্বে ছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে যখন ডাকা হয় তত ক্ষণে ছেলের মারা গিয়েছে।’’ ভোর হতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন ওই পরিবারের অন্য সদস্যেরা। তাঁরা হাসপাতালের সুপার, পূর্বস্থলীর বিধায়ক ও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। রিঙ্কুদেবীর মাসি মাধবী সিকদার বলেন, “হাসপাতালের বেশিরভাগ কর্মীর দুর্ব্যবহারে আমরা সিঁটিয়ে থাকি। সেই দিন রাতেও আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছিল।” পূর্বস্থলীর বিধায়ক তৃমূলের তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের কড়া সাজা দিতে হবে।” সুপার স্বপনকুমার দাসের কথায়, “অভিযোগ পেয়েছি, কোন পরিস্থিতিতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির নালিশ
বেআইনি ভাবে কাশির ওষুধ বিক্রির অভিযোগে মাজদিয়ার একটি দোকানে হানা দেয় জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের সদস্যরা। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার ওই দোকানে হানা দিতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের বাধা দেয় বলেও অভিযোগ করেন ওই কর্মীরা। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ওই দোকানে হানা দিয়ে কয়েকটি নিষিদ্ধ কাশির ওষুধের বোতল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দোকান মালিকের কাছে ওই ওষুধ বিক্রির কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। পুলিশ জানিয়েছে, দোকান মালিক অসীত সরকার পলাতক। জেলা পুলিশের ডিএসপি দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
সম্প্রতি শিবাজী সরকারের স্মৃতিতে দরিদ্র গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করেছিল হাড়োয়ার খাসবালান্দা পঞ্চায়েতের লতারবাগান এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শিবিরে রক্তে গ্রুপ নির্ণয়, সুগার পরীক্ষা, হাঁপানি রোগ নির্ণয় ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ছিলেন ব্লক মেডিক্যাল অফিসার শশাঙ্ক পোদ্দার, স্বজল দাস, অজিত সরকার, কলাণী সরকার প্রমুখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.