পরিবেশ বিভাগের দায়িত্ব ছাড়ছেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি জল সরবরাহ বিভাগের দায়িত্ব পেতে চলেছেন। সোমবার মেয়রের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ওই আর্জি জানিয়ে দেন দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। পাশাপাশি কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের তরফে ক্রীড়া, পরিবহণ যে দুটি দফতরের দায়িত্ব তৃণমূলের হাতে থাকবে বলে ঠিক হয়েছিল সেগুলি দলের অপর দুই মেয়র পারিষদকে দেওয়ার আর্জি জানান। চিঠিতে পরিবেশ বিভাগের এবং পরিবহণ বিভাগের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্তকে। সেই মতো ক্রীড়া বিভাগের দায়িত্ব পেতে চলেছেন পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তও বলেন, “এ দিনই গৌতমবাবুর কাছ থেকে এ ব্যাপারে চিঠি পেয়েছি।” গত মে মাসে ঝড়ে হাইটেনশনের স্তম্ভ উল্টে ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ২ দিনেরও বেশি শহরের পানীয় জল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদ অরিন্দম মিত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অরিন্দমবাবুর উপর জল ছাড়াও ক্রীড়া, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, স্বনির্ভর বিভাগের দায়িত্ব ছিল। সমালোচনার মুখে জল সরবরাহ-সহ ক্রীড়া এবং পরিবহন বিভাগের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চান তৃণমূল কাউন্সিলর অরিন্দমবাবু। সেই মতো ওই দফতরগুলি এর পর থেকে মেয়র নিজেই দেখছেন। কাদের উপর ওই দায়িত্ব তৃণমূল দিতে চায় তা এত দিন ঠিক হয়নি। অরিন্দমবাবু দায়িত্ব ছাড়ার পর ওই বিভাগগুলির দায়িত্ব কারা পেতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, গত শুক্রবার তৃণমূলের কাউন্সিলরদের নিয়ে এ ব্যাপারে বৈঠকও করেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেখানে পরিবেশ বিভাগের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়ার কথা জানান রঞ্জনবাবু নিজেই। বৈঠকে জল সরবরাহ বিভাগের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছিল। তেমনই ক্রীড়া বিভাগ কৃষ্ণবাবুকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাফাই বিভাগ দুলালবাবু দেখায় পরিবেশ বিভাগ এবং পরিবহণ বিভাগ তার পক্ষে দেখা এবং কাজের সমন্বয় করা সহজ হবে বলেই দলীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন। পরিবহণ বিভাগে যে গাড়িগুলির দেখভাল করতে হয় তার অধিকাংশ সাফাইয়ে ব্যবহৃত হয়। |