অবরোধে চালু বাস টার্মিনাস
স্থানীয় বাসিন্দাদের অবরোধের চাপে চালু হল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া বাস টার্মিনাস। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন হলেও গত চার মাসে টার্মিনাস থেকে একটিও বাস ছাড়েনি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। সোমবার সকাল থেকে পান্ডাপাড়ার পাঁচটি এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। এ দিন থেকেই টার্মিনাস চালু করতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন অবরোধকারীরা। একই দাবিতে গত ১৪ জুনও এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ হয়েছিল। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এ দিন অবরোধকারীদের অনড় মনোভাবের বার্তা পেয়ে উদ্যোগী হয় পুলিশ প্রশাসন। পুরসভার তরফেও পুলিশ প্রশাসনকে টার্মিনাস চালু করতে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানানো হয়। তিন নম্বর ঘুমটি লাগোয়া রাস্তার ওপরে দাড়িয়ে থাকা সব বাস ও ছোট গাড়িকে টার্মিনাসে যেতে বাধ্য করে পুলিশ প্রশাসন। টার্মিনাসে না দাঁড়িয়ে রাস্তায় ওপরে দাঁড়ালে জরিমানা করা হবে বলে পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।
জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ায় পথ অবরোধ। ছবি: সন্দীপ পাল।
অবরোধ শুরুর দুই ঘন্টার মধ্যে টার্মিনাস চালু হয়ে যাওয়ায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির থানার আইসি কোকিলচন্দ্র রায় বলেন, “বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই টার্মিনাসটি চালু করার দাবি জানাচ্ছিলেন। পুরসভাও এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। এদিন সেইমত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপরে বাস বা গাড়ি দাঁড়ালে জরিমানা করা হবে।” জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি রুটে চলাচলকারী বাস ও ছোট গাড়িগুলি এতদিন তিন নম্বর ঘুমটি এলাকায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকত। এতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিন নম্বর ঘুমটি এলাকায় তীব্র যানজট লেগেই থাকত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পাশাপাশি রাস্তাতে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে যাত্রীদেরও নাকাল হতে হত। সমস্যা মেটাতেই পান্ডাপাড়া এলাকায় বাস টার্মিনাস তৈরি হয়। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তৈরি টার্মিনাস গত ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বোধন হলেও টার্মিনাসে কোনো বাস দাঁড়াত না বলে বাসিন্দাদের ক্ষোভ ছিল।
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলে, “আমরা বারবার টার্মিনাস চালু করার জন্য বৈঠক করেছি। প্রশাসনের তরফে বাস মালিকদের টার্মিনাসে বাস দাঁড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। সেই কারনেই পুলিশ প্রশাসনকে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল।” অবরোধের পরে টার্মিনাস চালু হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাও খুশি। টার্মিনাস চালু হওয়ার পরে এলাকায় আবির খেলাও হয়েছে। এদিন অবরোধে স্থানীয় বাসিন্দাদের নেতৃত্ব দেওয়া বিকাশ মালাকার বলেন, “টার্মিনাসটি তৈরি হয়েও পড়েছিল। সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছিল। টার্মিনাস চালু না হওয়ায় সমাজবিরোধীদের আড্ডা এবং চুরির ঘটনাও ঘটেছে। আর যানজট তো ছিলই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.