দু’দল ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোলে সোমবার চাপড়ার দৈয়ের বাজার বিদ্যামন্দির স্কুলে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের এক জন একাদশ শ্রেণির ও দু’জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের মাথায় চোট লেগেছে। এক জনকে শক্তিনগর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জনকে ভর্তি করানো হয়েছে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ছাত্রদের গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন অভিভাবকেরাও। ক্রমশ তা গ্রাম্য বিবাদে পরিণত হয়। সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় তারকদাসপুর ও জামরেডাঙা গ্রামের কিছু বাসিন্দাদের মধ্যে। চাপড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় পুলিশ দু’জন গ্রামবাসীকে আটক করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গল ও বুধবার ক্লাস হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। |
স্কুলের প্রধানশিক্ষক কমলকান্তি দত্ত বলেন, “সিঁড়ি দিয়ে নামা নিয়ে শনিবার নবম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে অন্য কয়েকজন ছাত্রের গণ্ডগোল হয়েছিল। বিষয়টি জানার পরে আমরা সোমবার সেই ছাত্রদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠাই। কিন্তু তারপরে ছাত্রদের সামান্য গণ্ডগোলে অভিভাবকেরা জড়িয়ে পড়েন। তারপরেই তা আরও বড় আকার নেয়।” তিনি বলেন, “এই দিন স্কুলের টিফিনের সময়ে বাইরে গণ্ডগোলের শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখি, বাইরে এক দল ছাত্র ও তাদের অভিভাবকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু উত্তেজিত অভিভাবককে স্কুল কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, “স্কুল কিন্তু এই দিন স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছিল। দুই গ্রামের অভিভাবকেরা যে স্কুলের চারপাশে জড়ো হয়েছেন, তা আমরা বুঝতে পারিনি। টিফিনে ছাত্রেরা স্কুলের বাইরে বেরোতেই গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’পক্ষই পরস্পরের উপরে লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রধান শিক্ষক কমলবাবু বলেন, “এই গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত সাত ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।” |