মালদহ-সুরাট, নতুন ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি মালদহের দুই কংগ্রেস সাংসদকে।
শনিবার, নিজের সংসদীয় এলাকায় রেলের ওই অনুষ্ঠানে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মালদহ (দক্ষিণ) কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং মালদহ (উত্তর) কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেগম নুর, আমন্ত্রিত ছিলেন না কেউই। অথচ, সেই সন্ধ্যায় মালদহে ছিলেন দু’জনেই। কিন্তু ওই উদ্বোধনের কথা তাঁদের দু’জনকে জানানোই হয়নি বলে দাবি করেছেন দুই সাংসদ।
এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি। রবিবার মালদহের পুরাতন সার্কিট হাউজে তিনি বলেন, “তৃণমূল খুব বাড়াবাড়ি করছে। মনে করছে রেল দফতরটা তাদের। কংগ্রেসের দয়ায় রেল হাতে রাখব,আবার কংগ্রেসকেই উপেক্ষা করব, এটা চলতে পারে না। হাইকমান্ডের কাছে লিখিত ভাবে বলব, এখনই তৃণমূলের হাত থেকে রেল মন্ত্রক কেড়ে নেওয়া হোক।”
কেন তাঁদের ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাল না রেল? পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দর গুপ্তের দাবি, “রেল মন্ত্রকের নির্দেশ ছিল ট্রেন চালু উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠান হবে না। সে জন্যই কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”
সেই সঙ্গে, রাজ্যপাল এন কে নারায়ণনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আবু হাসেমের অভিযোগ, তৃণমূলের হয়ে ‘পক্ষপাতিত্ত্ব’ করছেন রাজ্যপাল। এ ব্যাপারেও হাইকমান্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি ‘নালিশ’ জানিয়েছেন।
রাজ্যপালের সমালোচনা করে মালদহের সাংসদের মন্তব্য, “রাজ্যপালের ভূমিকা খুব খারাপ। রাজ্যপাল ও তৃণমূল মিলেমিশে একাকার গিয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেস হাইকমান্ড ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করেছি। হাইকমান্ড ও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরাও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন।”
তবে জেলা কংগ্রেস সভাপতির ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে এখন অক্সিজেন নিয়ে চলতে হচ্ছে। সেই কারণে উনি এখন উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।” |