নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
জাতীয় পাখি রাখার জন্য তৈরি ঘরে ‘বিদেশি’ পাখি ছাড়ল বন দফতর। কোচবিহারের মাথাভাঙার তেকোনিয়া ইকো পার্কে ময়ূর রাখার জন্য তৈরি ঘরে রবিবার সিলভার ফেজান্ট নামের দুটি বিদেশি পাখি ছাড়া হয়। রবিবার মাথাভাঙার ওই ইকো পার্কে বন দফতরের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই পাখি দুটি ছাড়া হয়েছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে তেকোনিয়া ইকো পার্কে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে তারজালির ঘেরাটোপ দিয়ে ঘর করা হয়। সেখানে ময়ূর ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। ওই ব্যাপারে সেন্ট্রাল জু অথরিটি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতিও চেয়ে পাঠায় বন দফতর। রবিবার ময়ূর ছাড়া হবে বলেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেন্ট্রাল জু অথরিটি কর্তৃপক্ষের ওই অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে সিদ্ধান্ত বদলে রসিকবিলের পাখিরালয় থেকে তড়িঘড়ি একটি স্ত্রী ও পুরুষ সিলভার ফেজান্ট আনা হয়। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন অবশ্য বলেন, “ময়ূরের জন্য ওই ঘর করা হলেও সেন্ট্রাল জু অথরিটির অনুমতি না পৌঁছানোয় আপাতত তা ছাড়া যায়নি। অনুমতি মিললে পরে ময়ূরও রাখা হবে।” পাশাপাশি বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তেকোনিয়া ইকো পার্কে হরিণ উদ্যান তৈরির পরিকল্পনাও হয়েছে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক সৃষ্টি হল আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন সলসলবাড়ি এলাকায়। রবিবার ভোরে গ্রামের বির্স্তীণ এলাকা জুড়ে বুনো জন্তুর পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে যান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা। চিতাবাঘের ছাড়াও একটি শাবকের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে।
|
রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ৪টি বাগান পেরিয়ে রাতের মধ্যে দলটি পৌঁছে গিয়েছিল ডায়না জঙ্গলের ধারে নাংডালা চা বাগানে। দলের দুই সদস্য শুঁড় দিয়ে অসুস্থ হাতিটিকে টেনে এনেছিল জঙ্গলের কাছে। শেষ পর্যন্ত ফুসফুসের যন্ত্রণায় কাবু ৫ বছরের মাকনাটি মারা যায়। রবিবার বীরপাড়ার নাংডালা বাগানে ২৪ নম্বর সেকশনে ঝোপের পাশে জ্ঞান হারায় শাবকটি। ভোরে তাকে ফেলেই জঙ্গলে ফিরে যায় দলটি। |