জামিন পেয়ে উধাও অস্ত্র কেলেঙ্কারির পাণ্ডা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অস্ত্র কেলেঙ্কারির অন্যতম মূল পাণ্ডা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর খুঘাই জিমোমিকে পাকড়াও করেও ধরে রাখতে পারল না নাগাল্যান্ড পুলিশ। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে জুনেবটো থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন জিমোমি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ জিমোমির গাড়ির চালককে আটক করেছে।
জুন মাসের শেষে জামিন পেয়েছিলেন অস্ত্র কেলেঙ্কারির পাণ্ডা জিমোমি। কিন্তু শুক্রবার তাঁর খোঁজে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে জিমোমি পালিয়ে গিয়েছেন। এ দিকে নাগাল্যান্ড পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্রের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ টি। এর মধ্যে রয়েছে ২১ টি এসএলআর, স্টেন কার্বাইন এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া অস্ত্রের পাশাপাশি নানান বোরের প্রায় লাখখানেক কার্তুজ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ আগে থেকেই ছিল। তবে অস্ত্র পাচার নিয়ে পুলিশ-জঙ্গি আঁতাতের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায় গত এপ্রিল মাসে। এক নিহত ও একজন জখম জঙ্গির কাছ থেকে পুলিশের রাইফেল মেলায় সন্দেহ করা হয়, সেগুলি কোনওভাবে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে চুরি গিয়েছিল। সেই হিসাবেই তদন্তের নির্দেশ দেন ডিজি। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে কেউটে সাপ। দেখা যায়, পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে নানা ধরনের অস্ত্র ও কার্তুজ পুলিশ কর্মীরাই মোটা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে ওখার এসপি এস সেজোমোং বরখাস্ত হন। এনিমি চাকেসাং নামে এক কনস্টেবলের বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছিল, এসআই খুঘাই জিমোমি অস্ত্র পাচারে সরাসরি জড়িত। এ ছাড়াও, তদন্তকারীরা জঙ্গি ছদ্মবেশে ফাঁদ পেতে সশস্ত্র বাহিনীর আরও এক এসআই শশীতুংবা আওকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকেও একটি মাঝারি মেশিনগান ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। |
লে-তে ধস, আটক বহু
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর |
লে-এর কাছে চাং লা গিরিপথের কাছে ধস নামায় আটকে পড়ে প্রায় ১৩২টি গাড়ি। তার ফলে আটকে পড়েন বহু পর্যটক, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশি। শনিবার থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং সেনার যৌথ উদ্ধারকারী দল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৫৯০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত চাংলা গিরিপথের উপর দিয়েই যেতে হয় পানগং হ্রদে। চিন এবং ভারতের সীমান্তে অবস্থিত এই হ্রদটি পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণ।
শনিবার ভারী বর্ষণের ফলে টাংসি এবং লে-এর মধ্যবর্তী এলাকায় ধস নামে। প্রায় ২৫০ মিটার রাস্তা আটকে যাওয়ায় মাঝ পথেই গাড়িতে আটকে পড়েন বহু পর্যটক এবং বেশ কিছু স্থানীয়ও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের প্রত্যেকেই সুরক্ষিত রয়েছেন। তাঁদের জন্য ওষুধপত্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধারের কাজ শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না বলেও আশা পুলিশের। |
টাইটলার, গিলের সফরে আপত্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ টাইটলারের লন্ডন অলিম্পিকে যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানাল শিখদের কয়েকটি সংগঠন। সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবেই ব্রিটেনে যাওয়ার কথা টাইটলার ও প্রাক্তন পুলিশকর্তা কে পি এস গিলের। ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গার বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত টাইটলার। পঞ্জাবে সন্ত্রাস দমনের সময়ে দমনপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল গিলের বিরুদ্ধে। টাইটলার ও গিলের ব্রিটেনে আসা নিষিদ্ধ করতে সে দেশের সরকারকে চিঠি লিখেছে প্রবাসী শিখদের দু’টি সংগঠন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির প্রধান অবতার সিংহ মাক্করও। টাইটলার জানান, ‘ব্যক্তিগত কারণে’ তিনি ব্রিটেন যাবেন না। |
হাসপাতাল থেকে শিশু নিয়ে বেপাত্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
খোয়া গিয়েছে এক ছেলে। অন্য শিশুকে কোলে নিয়ে বসে মা
সোমবারি মুর্মু। রবিবার জামশেদপুরে। পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি। |
আলাপ জমিয়ে ঠাকুমার কোল থেকে এক বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে উধাও হয়ে গেল শিশুচুরির একটি দুষ্টচক্র। এই ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে জামশেদপুরের মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়াল (এমজিএম) হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল চত্বর থেকে শিশু চুরি যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে সাকচি থানার পুলিশ। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির খোঁজ মেলেনি। হদিস পাওয়া যায়নি শিশু-চুরি চক্রেরও। সাকচি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রামচরিত্র পাল জানিয়েছেন, এমজিএম হাসপাতাল চত্বর থেকে শিশু চুরির ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকাল সাতটা নাগাদ। এ দিন রাইকেলা খরসোঁয়া জেলার গামারিয়া গ্রাম থেকে বড় ছেলে বাবুর চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে সপরিবার এসেছিলেন উদয় মুর্মু। ছোট নাতি বছর খানেকের লক্ষ্মণকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বসেছিলেন উদয়বাবুর মা পাবর্তী দেবী। আর বড় ছেলে বাবুকে নিয়ে উদয়বাবু এবং তাঁর স্ত্রী সোমবারি দেবী হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এই ফাঁকে শিশু চোর চক্রের জনাতিনেক যুবক এসে পাবর্তী দেবীর সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলে। লক্ষ্মণকে আদর করতে করতে ঠাকুমার কোল থেকে টেনে নিয়ে মুহূর্তে উধাও হয়ে যায় তারা। |