|
|
|
|
শহরে খোলা কুয়ো আছে কি, পুরসভা দেখবে আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
হাওড়ার লিলুয়ায় এক কিশোর পাতকুয়োয় পড়ে যাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুরসভা।মহানগরীতে খোলা অবস্থায় কোনও পাতকুয়ো আছে কি না, তা দেখার জন্য রবিবার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গুড়গাঁওয়ের গর্তে মাহি আর লিলুয়ার কুয়োয় রোশন মণ্ডলের পড়ে যাওয়ার ঘটনা থেকে সকলকেই শিক্ষা নিতে হবে। কোথাও কোনও খোলা ম্যানহোল, পরিত্যক্ত কুয়ো থাকলে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই উদ্যোগী হয়ে পুরসভাকে জানানো উচিত।” পুরসভার তথ্য বলছে, সরকারি ভাবে শহরের কোথাও নতুন করে পাতকুয়ো খোঁড়া হয়নি। কিন্তু কলকাতা পুরসভার সংযোজিত এলাকায় কোনও কোনও বাড়িতে খোলা পাতকুয়ো আছে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, “জলের সমস্যা মেটাতে এবং বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে কোথাও কোথাও ওই ধরনের কুয়ো খোঁড়া হয়েছে। এই ধরনের অনেক কুয়োই খোলা অবস্থায় থাকে। সেগুলি এখন কী অবস্থায় আছে, তা দেখা হবে।” তবে সাধারণ ভাবে ওই সব কুয়োর উপরে পুরসভার যে কোনও নজরদারিই নেই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন শোভনবাবু। তিনি জানান, পুরসভা শুধু নাগরিকদের উপরে দায় ছেড়ে দিয়েই নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকবে না। শহরের কোন কোন নির্মীয়মাণ বাড়িতে জলের জন্য কুয়ো খোঁড়া হয়েছে, আজ, সোমবার থেকে তার তালিকা তৈরি করবেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা। এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে স্থানীয় কাউন্সিলরদের অনুরোধ করেছেন মেয়র। দমকলমন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র-পারিষদ জাভেদ খান বলেন, “আগে শহরের বস্তি এলাকায় পাতকুয়ো ছিল। জলের সমস্যা মেটাতে বস্তিবাসীরা তা ব্যবহার করতেন। এখন পাইপলাইনের জল পৌঁছনোয় পাতকুয়ো উঠে গিয়েছে। কোথাও কোথাও তা সেপটিক ট্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।” বস্তি এলাকার পুরনো কুয়োগুলির অবস্থা ঠিক কী, সোমবার থেকে খতিয়ে দেখা শুরু হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুরসভা সূত্রেই জানানো হয়, মহানগরীর কিছু এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। তবে সেগুলির মুখ মাটি থেকে অনেক উপরে। আর সেই সব নলকূপে পাইপের ব্যাসার্ধ মাত্র ১০ ইঞ্চির। ওই পাইপ দিয়ে কেউ গলে যেতে পারবে না।
|
|
|
|
|
|