সিপিএমের প্রবীণ নেতা চণ্ডী পালের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে তুফানগঞ্জ থেকে কোচবিহারে দলের জেলা দফতরে বামফ্রন্টের একটি বৈঠকে যোগ দিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। দলের নেতা কর্মীরা তাঁকে তড়িঘড়ি কোচবিহার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চন্ডীবাবু মারা যান। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দীর্ঘকাল দলের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ বছরই জেলা সম্মেলনের পরে সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন। ছিলেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়কও। বামফ্রন্টের সভায় যোগ দিতেই এ দিন দুপুর দলের গাড়িতেই বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন। আড়াইটে নাগাদ কোচবিহারে জেলা দফতরে পৌঁছন। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী রায় বলেন, “বৈঠক শুরুর আগে দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলার সময়ে চণ্ডীদা চেয়ারেই ঢলে পড়েন। খবর পেয়ে তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।” স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কোচবিহারে ছুটে যান দলের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য স্ত্রী জবা পাল-সহ আত্মীয় ও দলের নেতা কর্মীরা। পরে হাসপাতাল থেকে চণ্ডীবাবুর মরদেহ সিপিএমের জেলা দফতরে আনা হয়। প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ ডাকুয়া, অনন্ত রায়, ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ, তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্যামল চৌধুরী, পুরসভা চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু, যুব কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক, আরএসপি’র তাপস সাহা, সিপিআই নেতা পার্থ সরকার প্রমুখ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। আজ, সোমবার চণ্ডীবাবুর মরদেহ তুফানগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। দলের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ ডাকুয়া বলেন, “ওঁর মৃত্যুতে বামপন্থী আন্দোলনের ক্ষতি হল। উদয়নবাবু বলেন, “বর্তমান সঙ্কটে জেলা বামফ্রন্ট একজন রাজনৈতিক অভিভাবক হারাল।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জেলার রাজনীতিতে চণ্ডীবাবু ছিলেন একজন বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব। মত ও নীতি, আদর্শের ফারাক থাকলেও তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।” চণ্ডীবাবুর শৈশব কেটেছে তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটে। ১৯৫১ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। ১৯৯১-২০১১ তিনি জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। |