তীব্র দাবদাহের পর বৃষ্টি নামল দক্ষিণ দিনাজপুরে। রবিবার সকালে বৃষ্টি নামে। বেলা ১১ টা পর্যন্ত চলতে থাকে। বর্ষার হাতছানিতে একধাপে তাপমাত্রা অনেকটা নেমে যাওয়ায় অবশেষে স্বস্তি এসেছে। খুশির হাওয়া পাট ও সবজি চাষিদের মধ্যেও। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এদিন বালুরঘাটে বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিমি। বাংলাদেশের দিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হয়ে সীমান্তের মাত্র ৩ কিমি দূরের বালুরঘাটে ঢুকে পড়ায় বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হলে দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বর্ষা নামতে কয়েক দিন দেরি আছে। উপকৃষি অধিকর্তা লক্ষীকান্ত মান্ডি বলেন, “প্রাক বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। এতে আমন ধানের বীজ তলা তৈরির কাজে সহায়ক হবে। পাট ও সবজি চাষেরও সমস্যা দূর হবে।” |
এ দিন টানা বৃষ্টিতে বালুরঘাট শহরের বেহাল নিকাশি নালার অবস্থা সামনে আসে। প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে শহরে গত বছর মাস্টার প্ল্যানের নর্দমা তৈরি করে বালুরঘাট পুরসভা। ওই সমস্ত নিকাশি দিয়ে জল বের না হওয়ায় রাস্তায় জল জমে গিয়ে এদিন দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। কোথাও আবার ড্রেনের কাদাযুক্ত নোংরা জল উপচে রাস্তায় চলে আসে। ফলে ভারী বর্ষণে কী অবস্থা হবে, তা ভেবে আতঙ্কিত শহরবাসী। পুরসভার চেয়ারম্যান সুচেতা বিশ্বাসের বক্তব্য, “কাজ এখনও শেষ হয়নি। তা ছাড়া রাস্তার জল বেশিক্ষণ দাঁড়ায় না।” কৃষি বিভাগ সূত্রের খবর, জেলার গড় বৃষ্টিপাত বছরে ১৮০০ মিমি। গত বছর মে-জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছিল ৯০০ মিলিমিটারের উপর। এবছর মে মাসে বৃষ্টির পরিমাণ মাত্র ৩৪ মিলিমিটার। ফলে টানা ভারী বৃষ্টি হলে বন্যার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। |