তিন দশক পরে চালু সিঙ্গুরের আঠালিয়া হাট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
গত তিন দশক বন্ধ থাকার পরে ফের চালু হল সিঙ্গুরের আঠালিয়া হাট। গত ৯ মার্চ থেকে আঠালিয়া গ্রামে সিঙ্গুর-২ পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে নতুন করে হাট বসতে শুরু করল। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানানো হয়েছে, আগের মতোই মঙ্গল এবং শনিবার দুপুর থেকে হাট বসবে। হাটটি নতুন ভাবে উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না প্রমুখ।
এই হাটের উৎপত্তি কবে, কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। প্রবীণ মানুষদের অভিজ্ঞতা বলছে এক সময় রমরমিয়ে চলত এই হাট। দুরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতেন বিকিকিনি করতে। কিন্তু, মূলত পরিকাঠামোগত কারণে এবং ভাল রাস্তার অভাবে তিন দশক আগে হাটটি বন্ধ হয়ে যায় বলে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই হাটের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শতাধিক কৃষক, মাছ বিক্রিতা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রেতারা পসরা নিয়ে প্রথম দিনই হাটে বসেন। ওই হাট পুনরায় চালু হওয়ায় স্থানীয় আঠালিয়া, গাণ্ডারপুর, রতনপুর, হাবাসপোঁতা, সুন্দরপুর, আঁটিশেওড়া, ভাণ্ডারদহ-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি, শহর থেকেও ব্যবসায়ীরা আসছেন কেনাকাটা করতে। হাটটির পরিকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির তরফেও একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বেচারামবাবু বলেন, “বহু পূর্বে অত্যন্ত জমজমাট ছিল গোটা এলাকা। জমিদারি প্রথার স্মৃতি মিশে রয়েছে ওই হাটে। হাটটি পুনরায় চালু হওয়ার ফলে গ্রামবাসীরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনই ফিরে এসেছে পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিও।” |