পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ৬টি গাড়ি ভাঙচুর, অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আন্দুল |
বাসের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে তেতে ওঠে হাওড়ার আন্দুল বাসস্ট্যান্ড এলাকা। জনতা তিনটি বাস, একটি গাড়ি এবং দু’টি ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এক ঘণ্টা অবরোধ করা হয় আন্দুল রোড। বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ গিয়ে লাঠি চালিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম ঝর্না দাস (৪৪)। তিনি আন্দুলের আড়গোড় এলাকার বাসিন্দা। সকাল ৯টা নাগাদ ৬১ নম্বর রুটের (আলমপুর-হাওড়া) একটি বেসরকারি বাস আন্দুল রোড ধরে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি গাড়িকে ‘ওভারটেক’ করতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে প্রভাত হাজরা নামে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। |
তার পরে বাসটি পিষে দেয় ঝর্ণাদেবীকে। তিনি বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরে জ্যোৎস্না দলুই নামে আর এক পথচারীকে ধাক্কা মেরে বাসটি পালানোর চেষ্টা করলে জনতা ধাওয়া করে ধরে ফেলে। চালক নেমে পালান। যাত্রীদের নামিয়ে ওই বাসটি-সহ ৬টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তার পরে শুরু হয় অবরোধ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দু’জনকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, জনবহুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিদিনই বেপরোয়া গতিতে বাস-ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না। ট্রাফিক পুলিশও মোতায়েন করা হয় না। অবরোধের জেরে এ দিন ওই রাস্তায় তীব্র যানজট হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হিরা বলেন, “সংখ্যায় কম থাকায় সব জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। আন্দুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঠিক কোন জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |