ভারত-নেপাল সীমান্তের মাওবাদী প্রভাবিত পশ্চিম চম্পারণ ও সীতামঢ়ী এই দু’টি জেলাকে সুসংহত কর্ম পরিকল্পনার (ইন্টিগ্রেটেট অ্যাকশন প্ল্যান) আওতায় নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রথম বিহারে কোনও জেলাকে এই বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় আনা হল। রাজ্যে দু’দিনের সফরে এসে সীতামঢ়ীতে গিয়ে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এর পর খুব শীঘ্রই প্রথমে মুঙ্গের এবং জামুই এবং তার পর ধীরে ধীরে রাজ্যের আরও ৯টি জেলাকে এই পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও রমেশ আভাস দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কাল পটনায় এসে সন্ধ্যায় সীতামঢ়ীতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি সেখানে গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ ঘুরে দেখেন। বৈঠকের পরে রাতে তিনি জানান, এই পরিকল্পনার আওতায় আসার ফলে পশ্চিম চম্পারণ ও সীতামঢ়ী জেলা অতিরিক্ত ৩০ কোটি টাকা করে বিশেষ অনুদান পাবে। রাস্তা, কার্লভাট এবং পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য এই টাকা খরচ করতে হবে।
সীতামঢ়ী জেলার কমিশনার রামাশঙ্কর দস্তুয়ার বলেন, “সব টাকা যাতে উন্নয়ন খাতে খরচ করা হয় তার জন্য নির্দিষ্ট ভাবে পরিকল্পনা করে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছেন রমেশ। এর জন্য সময়সীমা বেঁধে কাজ করতে বলেছেন তিনি।”
কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের এমন ১১টি জেলাকে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। রমেশ বলেন,“বিহারে মাওবাদী সমস্যার ধরনটা অন্য রাজ্যের তুলনায় আলাদা। এখানে মাওবাদী সমস্যা জাতপাত এবং জমি সমস্যার সঙ্গে গভীর ভাবে যুক্ত।” তবে বিহারে এই সমস্যা এখন অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম বলে অভিমত কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর।
রমেশ জেলা প্রশাসনকে মাওবাদী প্রভাবিত পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে টাকা খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সীতামঢ়ীর ২৭৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০০টি মাওবাদী প্রভাবিত। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মধ্যে সীতামঢ়ী এবং পশ্চিম চম্পারণ এই দুই জেলাই নেপাল সীমানায় অবস্থিত। |