|
|
|
|
পরিচয় মিলল মল্লারপুরে মৃত যাত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
মল্লারপুর স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত যাত্রীর পরিচয় উদ্ধার হল। শনিবার বিকেলে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্যাম মারিয়া (২১)। বাড়ি নলহাটি পুরসভার ৪ লম্বর ওয়ার্ডের পাথরদল পাড়ায়।
মৃতের বাবা প্রেমলাল মারিয়া জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে বর্ধমানে অসুস্থ দাদুকে দেখতে যাচ্ছিলেন। পকেটে ১৯০ টাকা নিয়ে সকালে ট্রেন ধরতে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “ছেলে নলহাটি থেকে কোন ট্রেনে চেপেছিল জানতাম না। বর্ধমানে যোগাযোগ করে জানতে পারি ছেলে সেখানে পৌঁছয়নি। তখন থেকেই চিন্তায় ছিলাম। পরের দিন খবরে জানতে পারি একজন ট্রেন থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। সে যে আমারই ছেলে তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।” কোথাও খোঁজ না পেয়ে শনিবার রামপুরহাটে হাসপাতালের মর্গে এসেছিলেন প্রেমলালবাবু। সেখানে শুক্রবার মল্লারপুর স্টেশনের ঘটনায় মৃতের দেহের পোশাক দেখে সেটি তাঁর ছেলে শ্যাম মারিয়া বলে শনাক্ত করেন তিনি। এ দিকে মৃতের ভাই গোপাল মারিয়া ও প্রতিবেশী সন্দীপ বিশ্বাসদের অভিযোগ, “ডাউন বারাণসী-শিয়ালদহ এক্সপ্রেসের টিকিট পরীক্ষক মনোজকুমার রজকই শ্যামকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।”
অন্যদিকে, রবিবার সকালেই মল্লারপুর ও রামপুরহাট স্টেশনের ম্যানেজারদের কাছে স্মারকলিপি দিল যথাক্রমে লাভপুর রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। দুই সংগঠনেরই অভিযোগ, নিরীহ রেল যাত্রীদের উপর এক শ্রেণির রেলকর্মীর জুলুমবাজি ও অত্যাচার বেড়ে চলেছে। শুক্রবারের ঘটনায় মৃত শ্যাম মারিয়ার পরিবারের লোকজনদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনায় অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে রেল যাত্রী সুরক্ষায় ট্রেনের ভেতরে আরপিএফ ও জিআরপি কমীর্দের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও তাঁরা জানিয়েছেন। এ দিকে সিটু অনুমোদিত রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নিয়ামত আলি বলেন, “ঘোষণা সত্ত্বেও এখনও রামপুরহাট স্টেশনের নতুন প্ল্যাটফর্মের কাজ শুরু হয়নি। এ ছাড়া ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ফুট ওভারব্রিজ ও চলমান সিঁড়ির কাজের গতি খুব খারাপ। অবিলম্বে ওই কাজগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|