|
|
|
|
পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল রেণু সরকার খুনে অভিযুক্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানি সিউড়ি সদর হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে পালানোর চেষ্টা করল। তবে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের মধ্যেই সে আবার ধরা পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জুন সিউড়ি সংশোধনাগার থেকে মঙ্গলকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতালে পুলিশের বিশেষ সেলে তাকে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলকে ছেড়েও দিয়েছিলেন।
রবিবার সকালেই সিউড়ি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ওই অভিযুক্ত স্যালাইনের লোহার স্ট্যান্ডের সাহায্যে কোনও ভাবে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়ে। তবে তার পরে হাসপাতালের বাইরে বেরোনোর রাস্তা খুঁজে না পেয়ে ঢুকে পড়ে সার্জিকাল ওয়ার্ডে। সেই ওয়ার্ডের কয়েক জন নার্স তাকে চিনতে পেরে চিৎকার করে ওঠেন। হাসপাতালকর্মী ও রোগীদের কয়েক জন তখন তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে মঙ্গল তাঁদের আঘাত করে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। চিৎকার চেঁচামেচিতে চিকিৎসক, পুলিশকর্মী ও অন্য হাসপাতালকর্মীরা চলে আসেন। তাঁরা কোনও রকমে ধরে ফেলেন মঙ্গলকে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “অসুস্থ বোধ করায় মঙ্গল সাহানিকে সিউড়ি সংশোধনাগার থেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রবিবার ভোর রাতে ওই অভিযুক্ত পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। তাকে ফের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।” হৃষিকেশবাবু জানিয়েছেন, মঙ্গলের বিরুদ্ধে পুলিশ সেল থেকে পালানোর চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে। আজ, সোমবার তাকে সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনে নিজের বাড়িতে খুন হন বৃদ্ধা রেণু সরকার। ওই ঘটনায় পুলিশ বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার-সহ তিন জনকে গ্রেফতারও করে। সম্প্রতি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে। বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচারাধীন ওই তিন অভিযুক্তকে রাখা হয়েছে সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারে। অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল এলাকায় দাগী দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত। রেণুদেবী খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৮ জানুয়ারি রামপুরহাট থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। |
|
|
|
|
|