ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চিন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মধ্যে মিল কোথায়?
না, উত্তর খুঁজতে বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। অফিসের কাজে ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে তার উত্তর।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বিশ্ব জুড়ে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় প্রকাশ, অসুখের কথা বলে ছুটি নিয়ে কর্মচারীরা অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে আরামে দিন কাটান। এই বিষয়ে সব থেকে এগিয়ে চিন। সে দেশের প্রায় ৭১ শতাংশ কর্মচারী অসুখের মিথ্যে কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নেন। তবে, ভারতকে হেলাফেলা করার কিছু নেই। কারণ, ঠিক দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ভারত। ৬২ শতাংশ। আর সমীক্ষা অনুযায়ী, সব থেকে সৎ দেশ ফ্রান্স। সে দেশের মাত্র ১৬ শতাংশ কর্মচারী এ রকম ফাঁকি দিয়ে থাকেন।
কর্মক্ষেত্রে অত্যধিক কাজের চাপই তাঁদের ফাঁকি দেওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন ভারতের কর্মচারীরা। আর সেই ছুটি নিয়ে টিভি দেখা ছাড়াও বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করা তাঁদের অন্যতম পছন্দের বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রবণতা আটকানের জন্য মালিকপক্ষের কী করা উচিত সমীক্ষায় তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। বিশ্বের অধিকাংশ কর্মচারীই জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধে দেওয়া হলে এই প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় কর্মচারীদের দাবি, কর্মক্ষেত্রে কাজের সময় যদি কিছুটা কমানো যায়, তা হলেই কর্মচারীদের কাজে ফাঁকি মারার প্রবণতা কমবে। সমীক্ষায় আরও একটি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। হঠাৎ করে সহকর্মীরা ছুটি নিলে উপস্থিত কর্মচারীদের উপর প্রচণ্ড কাজের চাপ পড়ে যায়। কিন্তু সেই অনুযায়ী অতিরিক্ত ভাতা পান না তাঁরা। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা মানসিক অবসাদের শিকার হন। সমীক্ষায় তো কর্মচারীদের কাজ ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আর তার কারণগুলি সকলের সামনে উঠে এল। এর পিছনে মালিকপক্ষের অবদান কিন্তু আড়ালেই থেকে গেল। সেই সঙ্গে এই প্রবণতা ঠেকানোর কোনও সুরাহাও হল না। তাই এখন থেকে কর্মচারীরা ছুটি নিতে গেলে সাবধান। আপনি মালিকপক্ষের নজরে আছেন কিন্তু। |