সিরিয়ায় হিংসা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাই আপাতত সেখানে আন্তর্জাতিক নজরদারি দলের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত কালই রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানিয়ে দেওয়া
হয় যে, সিরিয়ার সেনা বাহিনী মাঝেমধ্যেই তাদের নিরস্ত্র কর্মীদের নিশানা বানাচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে সেই সঙ্গেই রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, সিরিয়া থেকে এখনই নজরদারি দল তারা তুলে নিচ্ছে না। শুধু উপদ্রুত কিছু শহরে তাদের নজরদারি দলের কর্মীরা নিজেদের গৃহবন্দি রাখবেন। গোটা বিষয়টি সাময়িক বলে জানিয়েছেন সিরিয়ায় নজরদারি দলের প্রধান জেনারেল রবার্ট মুড। মুডের কথায়, “সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে কেউই আগ্রহী নয়। রোজ অসংখ্য সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন। শিশু থেকে মহিলা, কেউই বাদ পড়ছে না। আমাদের কর্মীদের জন্যও কাজটা ভীষণ ঝুঁকির হয়ে যাচ্ছে। যদিও আমরা আমাদের কাজ এখনই শেষ করছি না। পরিস্থিতি বিচার করে আমাদের কর্মীরা আবার কাজ শুরু করবেন।” তাদের কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আজ পরিষ্কার জানিয়ে দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জ। যদিও অনেকেই মনে করছেন, এর মাধ্যমে রাশিয়াকেই বার্তা দিতে চাইছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কারণ সিরিয়ায় পশ্চিমী দেশগুলির কোনও রকম হস্তক্ষেপের বিষয়ে বারবরই বাধা দিয়ে এসেছে রাশিয়া। অভিযোগ, মুখে শান্তির কথা বললেও প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদকে অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে তারা। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাশিয়া কী ভাবে হস্তক্ষেপ করে, সেটাই এখন দেখতে চাইছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। |
সিরিয়ায় সরকার ও বিরোধী বাহিনীর সংঘর্ষে আজ নিহত হয়েছেন ১০০ জন। এর মধ্যে ৭৪ জন সাধারণ নাগরিক। শুধু লাতামনা শহরেই ক্ষেপণাস্ত্র হানায় আজ মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। আলেপ্পো শহরে গোয়েন্দা সদর দফতরে আজ হামলা চালায় বিরোধীরাও। আর্ন্তজাতিক প্রতিনিধি দলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মুখে স্বীকার করলেও বিভিন্ন শহরে আসাদ বাহিনীর হামলা এখনও বন্ধ হয়নি বলে দাবি বিরোধীদের। কোফি আন্নানের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়া ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষকেই অস্ত্র ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু বহু জায়গাতেই এখনও রয়ে গিয়েছে সেনা। মার্কিন উপগ্রহে ধরা পড়েছে তার বেশ কিছু ছবিও। যুদ্ধবিরতির দিন এগিয়ে এলেও সংঘর্ষ যে পুরোমাত্রায় চলছে তা জানিয়েছেন সিরিয়ার মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট ফোর্ড।
|
ভারতের প্রশংসায় এ বার তালিবান জঙ্গিরা! আফগানিস্তানে তালিবান প্রধান মোল্লা ওমর সম্প্রতি একটি বার্তায় জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লিওন পানেত্তা ভারত সফরে এসে তাঁদের বোঝা ভারতের কাঁধে ফেলে পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সেনা পাঠাতে অস্বীকার করে খুব ভাল কাজ করেছে। আর তাই ভারতের প্রশংসা করেছেন ওমর। তিনি আরও জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের লোকেরা বরাবরই স্বাধীনচেতা। নিজেদের আনন্দ থেকে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও শেষ পর্যন্ত তারা যে হেরে গিয়েছে, তা-ও স্পষ্ট জানিয়েছেন ওমর। প্রসঙ্গত, ২০১৪-র মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান বারাক ওবামা। কিন্তু যে তালিবান হটাতে এই অভিযান, সেই তালিবান ফের শক্তিশালী হয়ে উঠছে আফগানিস্তানে। আমেরিকার মদতপুষ্ট ন্যাটোর সঙ্গে প্রতি দিনই যুদ্ধ চলছে। গত দু’ বছরে কয়েকশো মার্কিন সেনা মারা গিয়েছেন।
|
সারা বিশ্বের নজর এখন গ্রিসের দিকে। আজ গ্রিসের ভোট ছিল যে। মন্দায় ভারাক্রান্ত গ্রিসের অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে এ বারের ভোটে কোনও পক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠাতা না পেলে ইউরো অঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসতে হতে পারে গ্রিসকে। আর এর ফলে সঙ্কট ঘনিয়ে আসবে ইউরো অঞ্চলে। গত ৬ মে-র ভোটে কোনও পক্ষই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফের ভোট হল সে দেশে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দু’জন। দক্ষিণপন্থী নিউ ডেমোক্র্যাসি দলের প্রার্থী অ্যান্টনি সামারাস এবং বামপন্থী সাইরিজা দলের প্রার্থী সাইপ্রাস। ভোটের দু’সপ্তাহ আগে থেকেই বুথ ফেরত সমীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও ব্লগে দেশের অধিকাংশ মানুষ ইউরো অঞ্চলে থাকার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
|
একাত্তরের যুদ্ধপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জামাত-ই-ইসলামি-র নেতা মীর কাসেম আলিকে। ‘নয়া দিগন্ত’ সংবাদপত্র ও ‘দিগন্ত টেলিভিশন’-এর মালিকও এই কাসেম আলি। তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এ দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির আড়াই ঘণ্টার মাথায় তাঁকে মতিঝিলে ‘নয়া দিগন্ত’ কার্যালয় থেকে ধরেছে পুলিশ। |