বাড়ির মধ্যে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে মঙ্গলকোটে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মাসখানেক আগে ইট্যা গ্রামে গুলি করে শম্ভুনাথ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে খুন ও তাঁর মেয়েকে জখম করার অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয় নিগন গ্রামের যুবক অনুপ সিংহরায়কে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ওই যুবক। কিন্তু সম্প্রতি অনুপের বাবা রণজিৎ সিংহরায় অভিযোগ করেন, ‘গণরোষে’ নয়, বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ‘পরিকল্পিত ভাবে’ খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কয়েক জনের নামে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভিত্তিতেই গত শুক্রবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
খুনের ঘটনার পরে পুলিশ দাবি করেছিল, ইট্যা গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল অনুপের। কিন্তু সেই সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করায় এক রাতে ওই যুবতীর বাড়িতে চড়াও হন অনুপ। অভিযোগ, ওই যুবতীকে তাঁর সঙ্গে বাড়ি ছাড়তে বলেন অনুপ। মেয়েটি তা না মানতে না চাওয়ায় অনুপ একটি দেশি রিভলবার বের করে গুলি চালান। তাতেই ওই যুবতী জখম হন ও তাঁর বাবা শম্ভুনাথবাবুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে বাড়ির মধ্যে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে পেটানো হলে মৃত্যু হয় অনুপেরও।
সম্প্রতি অনুপের বাবা রণজিৎবাবু জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, গণপিটুনিতে নয়, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। অনুপকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁর ‘প্রেমিকা’ ও বাড়ির লোকেরা। ওই যুবতীর মা, দাদা ও কাকার নামে লিখিত অভিযোগ করেন রণজিৎবাবু।
মঙ্গলকোট থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার নিগন গ্রাম থেকে দু ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন বিনয়শঙ্কর মণ্ডল ও সৌরেন্দ্রনাথ মণ্ডল। তাঁরা ওই যুবতীর দাদা ও কাকা। শনিবার কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ধৃতদের তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। |