স্কুল-ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল বর্ধমানের কাঁকসায়। সিপিএমের অভিযোগ, তাদের দলের এক লোকাল কমিটির সম্পাদক-সহ তিন স্থানীয় নেতাকে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করেছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ওই নেতাদের ‘আচরণে বিরক্ত’ হয়ে সাধারণ মানুষ তাঁদের উপরে চড়াও হন। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ
|
জখম আরিফ মুনসারি। |
হুসেন মির্জা জানান, এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
রবিবার কাঁকসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত দেড় দশক ধরে এই স্কুলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এসেছেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। এ বার সিপিএম এবং তৃণমূল মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। রাতে ফল বেরোনোর পরে দেখা যায় ৫টি আসনে তৃণমূল ও একটিতে সিপিএম সমর্থিত
প্রার্থীরা জিতেছেন।
এ দিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার পরেই স্কুল চত্বরে দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা থেকে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। র্যাফ নামানো হয়। দুপুর ২টো পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই ভোটগ্রহণ হয়। পরে ফের গণ্ডগোল বাধে।
সিপিএমের অভিযোগ, স্কুলে ঢোকার মুখে তাদের ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। তাই ভোটারদের ‘অভয়’ দিতে স্কুল থেকে বেশ খানিকটা দূরে বসেছিলেন কাঁকসা ৩ লোকাল কমিটির সম্পাদক তুলসী কেশ, কাঁকসা জোনাল কমিটির সদস্য রঞ্জিত দত্ত, দলের সদস্য শেখ সাদেক-সহ সিপিএমের কয়েকজন নেতা-কর্মী। |
দলের কাঁকসা জোনাল সম্পাদক অলোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেখানে হাজির হয়ে আমাদের তিন নেতাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে।” জখমদের চিকিৎসা করানো হয় কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, দলের নেতাদের ‘মদতে’ সিপিএমের কিছু মহিলা সমর্থক তাদের কর্মীদের ‘গালিগালাজ’ করছিলেন। তারই প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ ওই তিন সিপিএম নেতার উপরে চড়াও হন। তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এত দিন এই স্কুলে আমাদের প্রার্থী দিতে দেয়নি সিপিএম। এ বার ভোটে লড়ছি। শুধু শুধু অশান্তি করব কেন?”
বীরভূমের বোলপুরের নাহিনা গ্রামেও শনিবার রাতে সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটি সদস্য আতাউর রহমান-সহ দু’জনের বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে সিপিএম বোলপুর থানায় অভিযোগ করেছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |