প্রায় দু’বছর আগে ভবনটি তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও এখনও চালু হল না উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের মহেশপুর পঞ্চায়েত সদর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
এই পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানেই বীরশিবপুরে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে যাতায়াতের রাস্তার জমি-সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। তার জেরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা যাচ্ছে না। এ দিকে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু না-হওয়ায় এলাকার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য অন্যত্র যেতে বাধ্য হচ্ছেন। |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
ভবনটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় দরজা-জানালার কাঠ নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। ভেঙে গিয়েছে জানালার কাচ। ঝাঁ-চকচকে ভবনটির রঙ চটে বিবর্ণ আকার নিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু না-হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মহেশপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা উলুবেড়িয়া মহকুমা জেনারেল হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এর ফলে বিশেষ করে প্রসূতিরা সমস্যায় পড়ছেন। কারণ দু’টি হাসপাতালের দূরত্বই অনেকটা। যাতায়াত যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
মহেশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গোবিন্দ দত্ত বলেন, “উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে যাতায়াতের রাস্তার জমি নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার ফলেই এটি চালু করা যাচ্ছে না। চালু হলে স্থানীয় মানুষদের বেশ সুবিধা হবে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন গ্রামবাসী রাস্তার জমির মালিকানা দাবি করে রাস্তার উপরেই পাঁচিল দিয়েছেন। তার ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। প্রধান জানিয়েছেন, সমস্যা কয়েক দিনের মধ্যে মিটে যাবে। বিষয়টি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রধান। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক স্বাতী দত্ত বলেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আমাদের হাতে হস্তান্তর করা হলেই এটি চালু করে দেওয়া হবে।” জমি-সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খুব শীঘ্রই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে দেওয়া হবে বলে প্রধান জানান। |