গরমে ঘামতে ঘামতে অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসকেরা, কারণ ওটি-তে জরুরি যন্ত্র চললেও এসি চলেনি। ইমার্জেন্সি ভবন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন! শুধু জরুরি পরিষেবাটুকু জেনারেটরে চলেছে। বুধবার দিনভর এই ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিত্র।
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের সময়ে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের একতলায়, যেখানে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এনে রাখা হচ্ছে, শুধু সেখানে জেনারেটরের সাহায্যে আলো-পাখা চলেছে। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চলেছে ইনকিউবেটর। কিন্তু অর্থোপেডিক ও জেনারেল সার্জারির আউটডোরে প্রচণ্ড গরমে ছটফট করেছেন রোগীরা। একই অবস্থা ডেভিড হেয়ার ব্লকে। সেখানে জেনারেটর দিয়ে কোনও রকমে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র চালানো হলেও মাঝে-মাঝেই আলো-পাখা বন্ধ হয়েছে। কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির রোগী এবং রেডিওথেরাপি বিভাগের ব্রেকি থেরাপির রোগীদেরও।
গত কয়েক দিন ধরেই মেডিক্যাল কলেজে বিদ্যুতের সমস্যা চলছে। সার্জারি বিভাগের এক অধ্যাপকের কথায়, “আজ তবু অস্ত্রোপচার চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে যায়নি। জেনারেটর ব্যাক-আপ ছিল। গত পরশু তো আমাদের বেশ কিছুক্ষণ টর্চ জ্বেলে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।” কিন্তু কেন এত বিভ্রাট? হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালের সব এসি দিন-রাত চলছে। তাই লাইন ট্রিপ করে যাচ্ছে। দু’দিন আগেই ডিএইচবি, ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের মেন সুইচ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কোনও রকমে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হয়। বুধবার যে সুইচ ঠিক করতে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যাবে, তা আগেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। তাই জেনারেটর রাখা ছিল। অতি জরুরি পরিষেবা তা দিয়ে সামলানো গিয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থার কথা বারবার উঠলেও মেডিক্যালের মতো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে কেন নিজস্ব জেনারেটর নেই? কর্তৃপক্ষ জানান, তিনটি জেনারেটর এসেছে। তবে এখনও সেগুলি চালু হয়নি। যাতে আর বিলম্ব না হয়, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। |