বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির কয়েকটি ইউনিট মঙ্গলবার হঠাৎই বসে যাওয়ায় উৎপাদন মার খায়। এর ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এলাকার কিছু কিছু অঞ্চলে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বুধবার খারাপ ইউনিটগুলি সারিয়ে ফেলার পরে অবস্থা ফের স্বাভাবিক হয়েছে বলে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের দাবি।
ওই দফতরের এক কর্তা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মঙ্গলবার দুপুরে কোলাঘাটে ২১০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বসে যায়। ওই দিন সাঁওতালডিহিরও ২৫০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট খারাপ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনটিপিসি-র ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলে বণ্টন সংস্থার এলাকায় ৫০০-৬০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হয়।
অন্যান্য বছর জুনের এই সময়ে বর্ষা চলে আসত এবং বিদ্যুতের চাহিদাও অনেকটা কমে যেত। কিন্তু এ বছর একেবারে উল্টো চিত্র। একটানা প্রবল গরম তো চলছেই। তার উপরে অত্যধিক আর্দ্রতায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই পরিস্থিতিতে বণ্টন সংস্থার এলাকায় রোজ গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াচ্ছে ৪৪০০-৪৫০০ মেগাওয়াট।
তবে বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, বিদ্যুতের অভাবে কোথাও লোডশেডিং হয়নি। প্রতিদিনের চাহিদা মেটানো গিয়েছে। তবে কলকাতা এবং বণ্টন সংস্থার বহু এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ওভারলোডের কারণে যে ‘লো-ভোল্টেজ’ হচ্ছে, সেই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন বিদ্যুৎকর্তারা। কোথাও কোথাও বিদ্যুতের চাহিদা সংস্থার সরবরাহ-ক্ষমতাকে ছাপিয়ে গেলে স্থানীয় ভাবে লোডশেডিংও করতে হয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। |