দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসুর ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। পুরনো দল এবং দলের শীর্ষ নেতা, বিশেষ করে বিমানবাবুর সম্পর্কে বুধবারও কটাক্ষ করেন অনিলবাবু। তবে সে ব্যাপারে পাল্টা কোনও মন্তব্য করছেন না সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দিন বলেন, “উনি আমাকে নিয়ে যত কথাই বলুন না কেন, ওঁর সম্পর্কে আমার মুখ থেকে একটি শব্দও বেরোবে না!” অনিলবাবুকে নিয়ে সিপিএম যে ‘বিড়ম্বনা’য় পড়েছে, মুখ খুলে বিমানবাবুরা তা আর বাড়াতে চাইছেন না বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের ব্যাখ্যা। নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে এ দিন কৃষ্ণনগরে এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও দলীয় অবস্থানের কথা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি পদে ইউপিএ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করুক। তার পরে আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম বলব।” কলকাতা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর মালা রায়ের বাড়িতে হামলারও নিন্দা করেছেন তিনি। বিমানবাবুর বক্তব্য, “যে কোনও জনপ্রতিনিধির উপরে এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। মালাদেবী নিজেই জানান, হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক। আমরা আগেই বলেছিলাম, বিরোধীদের উপরে ক্রমাগত আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল। এখন জোট শরিকদের উপরেও হামলা করতে ছাড়ছে না তারা।”
|
রেল স্টেশনে হকারদের উপরে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষের কাছে স্মারকলিপি দিলেন সিটুর এক দল প্রতিনিধি। সিটুর অভিযোগ, বোলপুরে রেল হকার স্বপন ওরফে ফেকনা দাস এবং চন্দননগরে সংবাদপত্র বিক্রেতা বিনোদবিহারী সাধুখাঁকে পিটিয়ে মেরেছে রেল পুলিশ এবং আরপিএফ। ওই দু’টি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানান সিটুর প্রতিনিধিরা। সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যে বিভিন্ন রেল স্টেশনে হকারদের উপরে যে-ভাবে আক্রমণ চলছে, তা অমানবিক এবং মর্মান্তিক।” স্মারকলিপি পাওয়ার পরে মুখ্যসচিব জানান, সিটু নেতাদের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে সরকার। সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামলবাবু এবং সম্পাদক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছাড়াও ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাংসদ প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়, রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং নেপালদেব ভট্টাচার্য। |