তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করার পরেও প্রধানের বিরুদ্ধে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠল এ বার হুড়া ব্লকের সিপিএম পরিচালিত মাগুড়িয়া-লালপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। মাগুড়িয়া গ্রামের যুবক সুব্রত মাহাতো এলাকার কিছু উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে তথ্য প্রধানের কাছে তথ্য না পেয়ে হুড়ার বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন।
সুব্রতবাবু-র অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মাগুড়িয়া-ফুটলাকুলি ও লেদাডি-মাঝপাড়া রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ঢালাই করা হয়। কিন্তু মাস দু’য়েকের মধ্যেই লেদাডি-মাঝপাড়া রাস্তাটির কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, অন্য রাস্তাটিও বর্ষায় নষ্ট হয়ে পড়বে। মাগুড়িয়ার শবরপাড়ায় ও সরচাকলতায় দু’টি প্রাথমিক স্কুলে রান্নাঘর তৈরিতে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই কাজগুলি পঞ্চায়েত থেকে করা হয়েছে। সুব্রত-র কথায়, “কোন ঠিকাদার কাজ করেছেন, কখন ‘টেন্ডার’ ডাকা হয়েছিল, কত টাকা বরাদ্দ হয়, কোন প্রকল্পের কাজ- ইত্যাদি জানতে চাই। কিন্তু প্রধান আমাকে এ সব তথ্য না দেওয়ায় তথ্য জানার অধিকার আইনে ৯ এপ্রিল আবেদন করি। কিন্তু একমাস পরেও পঞ্চায়েত প্রধান আমাকে লিখিত ভাবে জানান, ওই কাজগুলি সম্পর্কে তথ্য তাঁর কাছে গোছানো নেই। তাই তিনি তা দিতে পারছেন না।” তাঁর অভিযোগ, প্রধানের জবাব হাস্যকর। তাই তিনি এ বার ওই তথ্য চেয়ে সোমবার বিডিও-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েত প্রধান বাসুদেব মণ্ডলের দাবি, “সুব্রতবাবু-র চাওয়া তথ্যগুলি তৈরি ছিল না বলে তাঁকে দেওয়া যায়নি। নির্মাণ কাজগুলির মান নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।” তবে হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিতের আশ্বাস, “বিধি মোতাবেক আবেদন করা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত প্রধান কেন তথ্য দিলেন না তা পরিষ্কার নয়। অভিযোগের তদন্ত করা হবে।” উল্লেখ্য, পুঞ্চার নিগুড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ না করেও তাঁর নামে কী ভাবে টাকা তোলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে জানতে চেয়েছিলেন তথ্য জানার অধিকার আইনে। সময়মতো জবাব না দেওয়ায় তথ্য কমিশন বিডিও-কে ওই আবেদনকারীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। |