বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি নিয়ে তৃণমূল এবং এসএফআই সমর্থকদের সংঘর্ষে জখম হলেন ৬ জন। বুধবার ঘটনাটি ঘটে মিনাখার বামনপুকুর হুমায়ুন কবির মহাবিদ্যালয়ে। কলেজের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। আহতদের একজনকে কলকাতা ও বাকিদের মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিনাখাঁ থানার ওসি বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ঢুকে তাদের সমর্থকদের উপর হামলা চালায় এসএফআই। প্রতিবাদে তৃণমূল এ দিন বিকালে কলেজের সামনে বাসন্তী রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
এসএফআইয়ের দাবি, চেয়ার ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়। এরপর তারা এসএফআইয়ের এক সমর্থককে কটূক্তি করলে তাকে মারধর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে উভয়পক্ষের তরফেই মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে খবর, বুধবার কলেজের সামনে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ফর্ম পূরণে সাহায্য করছিল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই সহ অন্য দলগুলির ছাত্ররা। নবাগত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা অ্যাডমিট পাননি তা নিয়েও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছিল। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তাদের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে একতরফা ভাবে তৃণমূল ভর্তির ফর্ম বিলি করছিল। তা নিয়ে প্রথমে দু’দল ছাত্রের মধ্যে বচসা বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি। এসে হামলা শুরু করে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের ডেকে এনেছিল এসএফআই। কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ বিশ্বাস বলেন, “কলেজে ছাত্রদের কোনও সংসদ এখনও গঠিত হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথা। এ দিন বিভিন্ন দলের ছাত্ররা নবাগতদের সাহায্য করছিল। দুপুরে তাদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। ঘটনা জানানো হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” স্থানীয় প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা অসীম দাস বলেন, “এমন ঘটনা কাঙ্খিত নয়।” যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সম্পাদক মসিউর রহমান বলেন, “ ফর্ম বিলির সময় এসএফআই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এর বিরোধিতা করতেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।” |