উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকে সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পে (আইসিডিএস) পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে মহকুমাশাসকের দফতরে সিলেকশন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বনগাঁ ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগের জন্য ২০১০ সালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরে সিলেকশন কমিটির কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ঝুলে ছিল। ইতিমধ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলে আসে। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আরও বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত এ দিন সিলেকশন কমিটি মহকুমাশাসকের দফতরে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত, বিডিও সুশান্ত বসু ও সিডিপিও বিভূদান মজুমদার। উপেনবাবু বলেন, “বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। পুরনো প্রক্রিয়াটি বাতিল করা হয়েছে।”
কিন্তু হঠাৎ এমন ব্যবস্থা কেন?
উপেনবাবুর বক্তব্য, আগের পরীক্ষার বিষয়ে কোনও রেজোলিউশন নেই। সিডিপিও এ ব্যাপারে কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি বৈঠকে। সিলেকশন কমিটির বৈঠকও হয়নি। কমিটির চেয়ারম্যানের কোনও স্বাক্ষরও নেই। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার ১৫১টি পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ৩ হাজার ১৪১টি। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ হাজার ৭০১ জন। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে আগের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরেই আমরা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব।” সৌমেনবাবু জানান, সিলেকশন কমিটির বৈঠক ডাকার কথা ছিল সিডিপিও-র। কিন্তু তিনি তা ডাকেননি।
এ ব্যাপারে সিডিপিও দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথমত বিধানসভা নির্বাচন তার পরে নতুন সরকার ক্ষমতার আসার পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাস বন্ধ রেখেছিল। তা ছাড়া যেহেতু পুরনো সিলেকশন কমিটি কোনও রেজোলিউশন করে যায়নি তাই নতুন কমিটি তার দায়িত্ব নিতে চায়নি। এই সব কারণেই ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। |