লোহার বিম ভেঙে গিয়ে ফরাক্কার ফিডার ক্যানেলের উপর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র লাগোয়া সেতুটি এক দিকে হেলে গিয়েছে। তাতে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েচেন এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ। কারণ, এনটিপিসি প্রকল্প এলাকায় যাওয়ার জন্য ফিডার ক্যানেলের এই সেতুটিই একমাত্র সড়ক পথ। ইতিমধ্যেই ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ সেতুটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছেন।
ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ ১৯৭২ সালে ফিডার ক্যানেলের উপর দু’টি সেতু নির্মাণ করেন। একটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। অন্য সেতুটি দিয়ে আশপাশের এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। ঝাড়খণ্ডের দিকে যেতে স্থানীয় মানুষ এই সেতুটিই ব্যবহার করেন। ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার অরুণকুমার সিংহ বলেন, “প্রায় ৪০ বছর আগে সেতুটি তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।” |
তিনি জানান, প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা সেতুটির পূর্ব পাড়ের ১০ ফুট ভিতরে সেতুটির একটি লোহার বিমে ফাটল দেখা দিয়েছিল মাস খানেক আগে। তিনি বলেন, “এখন সেটি দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে। তাই হেলে পড়া সেতু দিয়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” এনটিপিসি’র ফরাক্কা প্রকল্পের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ বলেন, “এনটিপিসি’র দু’টি টাউনশিপই রয়েছে ফিডার ক্যানেলের পূর্ব পাড়ে। প্রকল্পের সমস্ত গাড়িও এই পথ দিয়েই যাতায়াত করে। সেক্ষেত্রে ফরাক্কা ব্যারেজের এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি মেরামিতর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনটিপিসি’কে। সে কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। যত দিন তা না হচ্ছে, ওই বিপজ্জনক সেতুর উপর দিয়ে কোনও ভারি যান চালানো হবে না।” সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার পশ্চিম পাড়ের গ্রামবাসীরা। ফরাক্কার বিধায়ক কংগ্রেসের মইনুল হক বলেন, “এনটিপিসি নিজস্ব কোনও সেতু তৈরি করেনি। ২১০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট তৈরির সময়ে এই সেতুটিই ব্যবহার করেছে।” |