|
|
|
|
ধুন্ধুমার ক্ষীরপাইয়ে |
দলেরই গোষ্ঠীর হাতে ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল ক্ষীরপাই। দলেরই একটি গোষ্ঠীর লোকজনের হাতে আক্রান্ত হলেন ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজয় পাত্র। তাঁকে টাঙির কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। আহত সুজয়বাবুকে প্রথমে ক্ষীরপাই হাসপাতাল, পরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
সম্প্রতি ক্ষীরপাই হাইস্কুলে শিক্ষানুরাগী নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ক্ষীরপাই শহরে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছিল। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। এরই মধ্যে সোমবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় শহরের কাশীগঞ্জে সুজয় পাত্রকে টাঙির কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। সুজয়বাবুর অভিযোগ, “ঘটনায় দলেরই একটি গোষ্ঠী জড়িত। তাঁদের আমি চিনতেও পেরেছি। পুলিশের কাছে সব বলেছি।” দাসপুরে উপ-নির্বাচনের দিন, মঙ্গলবারই খুনের চেষ্টা, ছিনতাই, বেআইনি অস্ত্র নিয়ে হামলা-সহ একাধিক জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করেছেন সুজয়বাবুর ছেলে শুভজিৎ। তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতি চিত্ত পাল, গৌতম ভট্টাচার্য-সহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার নাম জড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ভাস্কর চৌধুরী নামে এক তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার ঘাটাল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল- হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিকে ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা ও এক সমর্থকের গ্রেফতারের খবর চাউর হতেই বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠীর অভিযোগ, কৃষ্ণপুর, মাধবপুর থেকে লোকজন এনে ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্ত পাল, মুজিবর রহমানদের নেতৃত্বে ক্ষীরপাই শহরে তাণ্ডব চালানো হয়। তৃণমূলের একটি দলীয় অফিস ভাঙচুরের চেষ্টাও করা হয়। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের ফেস্টুন নষ্ট করা, একাধিক দোকান ভাঙচুর, মারধর, পথ অবরোধ সবই হয়। অবরোধের জেরে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ও ক্ষীরপাই-আরামবাগ সড়ক প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ ছিল। প্রচণ্ড গরমে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী (দাসপুর উপ-নির্বাচনের জন্য আসা) গিয়ে অবরোধ তুলে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “ফের বুধবার ক্ষীরপাই শহরে গণ্ডগোল হয়েছে। আমি দলের নেতাদের এলাকায় পাঠিয়েছি। তাঁদের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেব।” এ দিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি চিত্ত পালের বক্তব্য, “জোর করে শিক্ষানুরাগী নির্বাচন, মিথ্যা ঘটনায় আমাদের জড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা মিছিল এবং পথ অবরোধ করেছি। মারধর, দলীয় অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যে।” |
|
|
|
|
|