অথচ এহেন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়ার প্রাক্কালে প্রান্দেলিকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন তাঁর অন্যতম প্রতিভাধর ফুটবলারই। গতকাল ইতালীয় সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে কাসানো সমকামী ফুটবলারদের প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের টিমে ওই জাতীয় কোনও ফুটবলার নেই বলেই আমার বিশ্বাস।” কিন্তু সমকামীদের সম্পর্কে কাসানোর ইতালীয় ভাষায় ‘ফ্রোচো’ শব্দ ব্যবহার নিয়ে গোটা ইউরো কাপে সোরগোল পড়ে যায়। সমকামীদের সংগঠন থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়াও হয়। কাসানোর উদ্ধৃত ওই বিশেষ শব্দের মানে ‘অদ্ভুতদর্শন মানুষ।’ কাসানোর মন্তব্য ছিল, “সমকামীরা যদি অদ্ভুতদর্শন মানুষ হয় তা হলে সেটা তাদের সমস্যা। আমার বিশ্বাস ইতালি টিমে ও রকম অদ্ভুত চেহারার কোনও ফুটবলার নেই।” তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দেখে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কাসানো। কিন্তু টিমের টেনশনটা কাটেনি পুরোপুরি। সুইডেন টিমের স্বঘোষিত সমকামী ফুটবলার হাইসেন তো বলেই দিয়েছেন, তিনি কাসানোর মন্তব্যে গভীর দুঃখ পেয়েছেন। ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী সমকামী অধিকার রক্ষা কমিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, “কাসানোকে অন্তত হলুদ কার্ড দেখানো তো উচিতই।”
বিতর্কের মাঝেই প্রান্দেলিকে তাড়া করছে কিছু বেয়াড়া ইতিহাস। ১৯৯১-এ সাবেক যুগোস্লাভিয়া ভেঙে স্বাধীন ক্রোয়েশিয়া হওয়া ইস্তক আজ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ইতালি তাদের এক বারও হারাতে পারেনি। তা ছাড়া শেষ পাঁচটা বড় টুর্নামেন্টে আজুরি দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। ক্রোয়েশিয়া গ্রুপ সি-র প্রথম ম্যাচ জিতে থাকাতেই হবে বোধহয়, ইতালি ম্যানেজার বলেছেন, “এই ম্যাচটাই মীমাংসা করে দেবে কোন দু’দল কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে।” প্রান্দেলির এখন দু’টো চিন্তা। স্পেনের বিরুদ্ধে সোনার সুযোগ নষ্ট করা বালোতেলিকে দিয়ে শুরু করবেন? না ৩৪ বছরের দি নাতালে-কে ৯০ মিনিট খেলানোর ঝুঁকি নেবেন? সেন্ট্রাল ডিফেন্সে আগের ম্যাচে নজরকাড়া দে রোসিকে ওই পজিশনেই রেখে দেবেন? না ওবোনা-কে ফিরিয়ে রোসিকে আসল জায়গা মিডফিল্ডে খেলাবেন? ক্রোয়েশিয়া কোচ বিলিচ বলেছেন, “ইতালি স্পেনের চেয়ে ভাল নয়। তবে ওদের প্রচুর বিকল্প আছে ওদের হাতে। পির্লোর লং বলগুলো যে কোনও সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে।” |