প্রায় ১০ কিলোমিটারের মাটির রাস্তা। মাঝে কোথাও ইট পাতা। কোথাও আবার সে সবেরও বালাই নেই। কোথাও ইট ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বছর আটেক ধরে এমন রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন আমতা-২ ব্লকের অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ।
অমরাগড়ি পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কাঁকরোল থেকে চকশালিকা এবং ভীমতলা হয়ে উত্তর ভাটোরা সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত রাধাগোবিন্দ রোড ৮ বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এর মধ্যে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ইটপাতা হয়েছিল। বাকি ৭ কিলোমিটার রাস্তায় কোনও কাজ হয়নি। মাটির রাস্তায় ইট ফেলে কোনও মতে যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু পুরো রাস্তাটির দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তিন কিলোমিটার অংশের ইট উধাও।
এই রাস্তা দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ কাঁকরোল, চকশালিকা, দূর্গাপুর, শিবগাছিয়া, হায়াতপুর, উত্তর ভাটোরা-সহ ১৫টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করেন। কাঁকরোল হাইস্কুল, শিবগাছিয়া স্কুল, ঝিখিরাবাজার, কাঁকরোল পোস্টঅফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যায় পড়ুয়ারা। বেহাল রাস্তা দিয়ে সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ঘটনাও ঘটে। ওই রাস্তা দিয়ে রোগী, প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দুষ্কর।
চকশালিকা গ্রামের বাসিন্দা সনৎ বাড় বলেন, “রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সাইকেল, বাইক নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হয়। রাস্তাটির সংস্কার হলে এলাকার মানুষের উত্তর ভাটোরা এলাকায় যাতায়াতে সুবিধা হবে। রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি সাংসদ সুলতান আহমেদকেও জানানো হয়েছে।” রাস্তাটির যথাযথ সংস্কার করে, পিচ দিয়ে পাকা রাস্তা করে অটো ও ট্রেকার চালানোর দাবি গ্রামবাসীদের। সামান্য বৃষ্টি হলে গ্রামবাসীদের দুর্গতির শেষ থাকে না।
অমরাগড়ি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি বিভাস জানা বলেন, “ভাঙাচোরা রাধাগোবিন্দ রাস্তাটি চওড়া করে সংস্কার করা প্রয়োজন। রাস্তাটি মেরামতের জন্য বহুবার পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছি। কিন্তু আজও কিছু হয়নি।”
অমরাগড়ির পঞ্চায়েত প্রধান তাপস দলুই বলেন, “রাধাগোবিন্দ রাস্তাটি দু’একবার মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার সময় জলে ডুবে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। রাস্তা সারানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতিতে আবেদন জানিয়েছি। টাকা বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।” আমতা-২ ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অজিত রায় অবশ্য বলেন, “রাস্তা সংস্কারের জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই সংস্কার শুরু হবে।” |