এক দিকে, ডিমাসা সমস্যা সমাধানে অসমের ডিমা হালমা দাওগের নুনিসা গোষ্ঠী কেন্দ্রের সঙ্গে খসড়া চুক্তি সই করল। অন্য দিকে, মণিপুরি জঙ্গি সংগঠন কেসিপি (এমসি) র সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত কাল, দিল্লিতে ডিএইচডি (নুনিসা) গোষ্ঠীর সভাপতি দিলীপ নুনিসা ও সেনাধ্যক্ষ প্রণব নুনিসা-সহ ছয় নেতা স্বরাষ্ট্র সচিবের দফতরে হাজির হন। কেন্দ্রের পক্ষে বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর-পূর্ব বিষয়ক যুগ্ম সচিব শম্ভু সিংহ, উপ সচিব অজয়কুমার কানোজিয়া, আইবির যুগ্ম অধিকর্তা এ কে মিশ্র ও মধ্যস্থতাকারী পি সি হালদার। দু’ ঘণ্টার বৈঠক শেষে খসড়া চুক্তি সই হয়। নুনিসাদের বিরোধী, ডিএইচডি (জুয়েল) গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই খসড়া চুক্তি সই করে ফেলেছে।
এ বার খসড়াটি অসম মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। সেখানে সম্মতিলাভের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেলে জুলাই মাস নাগাদ চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। ডিমাসাদের দুটি গোষ্ঠীই পৃথক ‘ডিমারাজি’ অর্থাৎ পৃথক ডিমাসা রাজ্য চেয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসেছে দুই পক্ষই। পরিবর্তে স্বশাসন নিয়ে চলছে দর কষাকষি। ডিমা হাসাও-সহ পড়শি জেলাগুলির ডিমাসা অধ্যূষিত গ্রামগুলির উপরে দুই পক্ষই আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। সেই চাপান-উতোরেই সর্বসম্মত সমাধান আরও পিছিয়ে যাচ্ছে।
অন্য দিকে,মণিপুর পুলিশ ও মণিপুর রাজ্য স্বরাষ্ট্র বিভাগ সূত্রে খবর, মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন কেসিপি (এমসি) গোষ্ঠীর সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সংগঠনের প্রধান লানহেইবা মেইতেই গত বছর গুয়াহাটি থেকে ধরা পড়েছিলেন। আপাতত সাজিওয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি বন্দিী ৯ জুন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা কারাগারে, লানহেইবার সঙ্গে দেখা করে, চুক্তির ব্যাপারে পাকা কথা বলে গিয়েছেন। এনআইএ-র দুই কর্তাও সেখানে ছিলেন। ১১ জুন, গোষ্ঠীর আরও তিন নেতা ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়।
তবে, কেসিপি (এমসি) সংঘর্ষবিরতির কথা ভাবলেও, কেসিপি (এমটিএফ) লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে, হিন্দিভাষীদের উপরে আক্রমণ, তোলাবাজি, বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হানার পিছনে বারবার এমটিএফ-এর নাম জড়িয়েছে। তবে, ১১ জুন, গোষ্ঠীর সেনাধ্যক্ষ নাওরেম ইনাকুম্বা ওরফে কেশো মেইতেইকে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করার পরে, এমটিএফ-এর রাশ টানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। কেশোকে, হিলকার্ট রোডের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ ও পুলিশ। এর আগে, ২২ মার্চ, ভারত-নেপাল সীমান্তে, কেসিপি (এমটিএফ)-এর ঘাঁটি উচ্ছেদ করেসংগঠনের অর্থ সচিব ইয়ুমলেনবাম ইঙ্গো সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, নাগাল্যান্ডের টিজিটে, যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে এনএসসিএন (আই এম) ও খাপলাং গোষ্ঠীর চার সদস্য। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনের লেফটেন্যান্ট ফোয়াং কন্যাক। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি এ কে-৫৬ রাইফেল ও ২২৬ রাউন্ড রাইফেলের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। |