রক্ষকই ভক্ষক।
গুয়াহাটিতে পরের পর ডাকাতি ও লুঠপাটের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারাই হতবাক। দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত খোদ পুলিশের লোকই। হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে নিতু খেরকাটারি, দীপুমণি নাথ ও চক্রধর কলিতা নামে তিন পুলিশকর্মীকে। ধৃতেরা সকলেই সকলেই কাহিলিপাড়ার ১০ নম্বর অসম পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত। এ ছাড়া, দুই দাগি অপরাধী জিতু বর্মণ ও যোগেন্দ্র রাইকেও গ্রেফতার করা হয়েেছে। এসএসপি অপূর্বজীবন বরুয়া বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের জড়িয়ে পড়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। পাঁচজনকে গ্রেফতার করার পরে শহরের অন্তত পাঁচটি ডাকাতি ও লুঠের ঘটনার কিনারা হবে বলে মনে হচ্ছে।”
তদন্তকারীরা ধৃতদের জেরা করে এখন নিশ্চিত যে, গত ৫ জুন নারায়ণনগরে দীনদয়াল সারোগি নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা লুঠ, ১৮ এপ্রিল হাতিগাঁওতে বিক্রম চৌরাসিয়ার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই ও গত বছর ডন বস্কো স্কুলের অদূরে, পঙ্কজ শর্মা নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা লুঠের ঘটনায় এই পাঁচজনই জড়িত ছিল। সব ক্ষেত্রেই বাধা পেয়ে ব্যবসায়ীদের গুলি করা হয়। ফ্যান্সিবাজারে সোমবার রাতে বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানে ডাকাতির ঘটনাতেও এই দলটি জড়িত বলেই পুলিশের সন্দেহ। কিন্তু কী ভাবে এদের চিহ্নিত করা হল তা নিয়ে পুলিশ এখনই মুখ খুলতে নারাজ।
এ দিকে, গত কাল মাছখোয়া এলাকায় বসির আহমেদের বাড়িতে ডাকাতি ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে খুনের ঘটনায় বাড়ির পরিচারিকা ও তার সঙ্গী আবিদ আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দল বেঁধে সাত জন ডাকাত বাড়িতে ঢুকে বসির ও পরিচারিকাকে বেঁধে ডাকাতি করেছিল। লুঠের সময় বাধা পেয়ে গৃহকর্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে খুন করে তারা। যে ভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দ্রুত কাজ সেরে ডাকাতরা পালায়, তা থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল, বাড়ির কাজের লোকই এ ঘটনার জড়িত। পরিচারিকাকে জেরা করে ছয়গাঁও থেকে আবিদকে ধরা হয়। |