ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার নির্বাচনে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগের তদন্তে আজ রাঁচি, দুমকা, সাহেবগঞ্জ ছাড়াও কলকাতা, দিল্লি, গুড়গাঁও এবং ভুবনেশ্বর-সহ মোট ১৮টি জায়গায় হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি করল সিবিআই। তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা মনে করছেন, ভোট কেনাবেচার চক্র শুধু ঝাড়খণ্ডের মধ্যেই আটকে নেই। ওই চক্রের শিকড় ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন অংশে।
এ দিন ঝাড়খণ্ডের পাঁচ বিধায়ক (বিজেপি, জেএমএম, আরজেডি এবং দুজন নির্দল)-এর বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন এবং গত মার্চ মাসের লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র আটক করেছে। ভুূবনেশ্বর থেকে আটক করা হয়েছে জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের পুত্রবধূ এবং দলীয় বিধায়ক, সীতা সোরেনের বাবার নামে ৪০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি। গত ৩০ মার্চ হর্স ট্রেডিংয়ের অভিযোগে বাতিল হওয়া রাজ্যসভার নির্বাচনের নির্দল প্রার্থী পবন ধুতের দিল্লি এবং গুড়গাঁও-র অফিস ছাড়াও তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত এজেন্ট সুনীল মহেশ্বরী, সৌরভ তাপারিয়ার কলকাতার বাড়ি এবং আর এন মুখার্জি রোডের অফিসেও এ দিন হানা দিয়েছে সিবিআই। দিল্লি, গুড়গাঁও এবং কলকাতায় ওই নির্দল প্রার্থীর ব্যাবসায় গত মার্চ মাসের লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঁচির সিবিআইয়ের এসএসপি আর চৌধুরী।
সিবিআই সূত্রের খবর, বিধায়ক কেনাবেচার এই অভিযোগের তদন্তে ঠিক একই ভাবে গত ১৮ মে ঝাড়খণ্ড এবং কলকাতার কিছু এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল। সে দিন সিবিআইয়ের অভিযান চলেছিল রাজ্যের এক ডজনেরও বেশি বিধায়কের বাড়িতে। রাজারাপ্পা এলাকার বাসিন্দা, রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়িতেও সেদিন হানা দেয় সিবিআই। উদ্ধার হয়েছিল তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ বেশি কিছু নথি। সাহেবগঞ্জ জেলার এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল ১৪ লক্ষ নগদ টাকা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ ঝাড়খণ্ডে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ ওঠে। ভোটের দিন ভোরে, রাঁচির নামকুম এলাকায় জনৈক নির্দল প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের গাড়ি থেকে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে আয়কর দফতর। যার জেরে ভোট গণনা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত কমিশন ওই নির্বাচন বাতিল করার সুপারিশ পাঠান রাষ্ট্রপতির কাছে। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেন। বাতিল হয় ওই ভোট। |