টানা বৃষ্টির জেরে অন্তত পাঁচটি জায়গায় ধস নামায় শিলচর ও গুয়াহাটির মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে বস্তুত গত কয়েক দিন ধরেই অসমের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা, মিজোরাম প্রায় অবরুদ্ধ। শিলচর-কালাইন সড়ক ধরে কোনও মতে যাতায়াত করছিল যানবাহন। কাল বিকালে ধস নামায় এই সড়কটিও বন্ধ হয়ে যায়। ধস নামে ৬ নম্বর (আগে ছিল ৪৪ নম্বর) জাতীয় সড়কে মালিডহর ও কুলিয়াংয়ের মধ্যবর্তী অংশে। সেখানে উল্টে যায় কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক। সৌভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কারও প্রাণহানি ঘটেনি। তবে এর ফলে এই সড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সার সার দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। নাইট সার্ভিসের বাসগুলিও আটকা পড়ে যায়। সব মিলিয়ে দুর্ভোগে অসংখ্য যাত্রী। |
বহু কসরতের পর আজ দুপুর নাগাদ ট্রাকটি তোলা হয়। তবে তার পরও যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বস্তুত কাল বিকাল থেকে আজ বিকাল- টানা প্রায়২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সড়ক পরিবহণ। ও দিকে জুনের গোড়া থেকেই দক্ষিণ অসমের ডিমা হাসাও জেলায় হারাঙ্গাজাও ও মাইলংডিসা স্টেশনের মধ্যে বড়সড় ধস নামায় ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। রেললাইনের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার জন্যই নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ রাখতে হয় ট্রেন চলাচল। লোয়ার হাফলং ও বদরপুরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথের মেরামতির কাজও দ্রুত গতিতে চালান রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী কাল থেকেই লামডিং-শিলচর ও লামডিং আগরতলা যাত্রী ট্রেন চালানোর চেষ্টা হবে বলে আজ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জন সংযোগ অফিসার এস হাজংয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে কাটিগড়ায় বরাক নদীর উপরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্যামন সেতু মেরামতির কাজ চলেছে জোর কদমে। বিয়ারিংজনিত কিছু সমস্যায় সেতুটির রেলিংয়ের কিছু অংশ গত শনিবার ভেঙে পড়ে। পূর্ত বিভাগের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণব সিংহ জানান, শুক্রবারের মধ্যেই সেতু মেরামতির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। |