শিল্পোন্নয়নের হার আশানুরূপ বাড়েনি। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ১৯৫ পয়েন্ট বেড়েছে সেনসেক্স। বুধবারও পতনের পথে পা বাড়াল না শেয়ার সূচক। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ডলারে টাকাও ছিল চাঙ্গা। তবে বিয়ের মরসুমে চাহিদার চাপে এবং বিশ্ব বাজারের প্রভাবে আরও বেড়েছে ইতিমধ্যেই আকাশছোঁয়া সোনার দাম। মুম্বই বাজারে গয়নার সোনাও এ দিন পেরিয়ে গিয়েছে ৩০ হাজারের গণ্ডি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যেই নেমে আসা বাজারে কম দামে শেয়ার কিনতেই এখন ব্যস্ত লগ্নিকারীরা। যার হাত ধরে বাজারের হাল ফিরবে বলেও আশাবাদী তাঁরা। তবে সেনসেক্স বেড়েছে যৎসামান্য। প্রায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দিনের শেষে সূচক পৌঁছয় ১৬,৮৮০.৫১ পয়েন্ট। দিনের সর্বোচ্চ অঙ্ক অবশ্য ১৬,৯৪৪.১১। তবে লগ্নিকারীরা এ দিন বাজারে পা ফেলেছেন সাবধানে। যার জেরে দিনের শেষে সেনসেক্স বেশি বাড়েনি। আসলে আগামী কাল প্রকাশিত হওয়ার কথা মে মাসের জন্য সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান। সে দিকেই তাকিয়ে বাজার। লগ্নিকারীদের ধারণা, মূল্যবৃদ্ধির হারই স্থির করে দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৮ জুন তার ঋণনীতির পর্যালোচনায় সুদ কমাবে কি না। মূল্যবৃদ্ধির হার যদি ৫ শতাংশের নীচে নেমে আসে, তা হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানো এক রকম নিশ্চিত বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সে ক্ষেত্রে অবশ্য বাজারে বুল্দের আধিপত্য ভালই বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
পাশাপাশি, তিন দিনের পতন কাটিয়ে ডলারে টাকার দামও এ দিন বেড়েছে ১২ পয়সা। বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছুঁয়েছে ৫৫.৬৮ টাকা। তবে এ ক্ষেত্রেও মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে নজর রয়েছে বাজারের। কারণ, মূল্যবৃদ্ধি কমলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর পথে হাঁটবে। সে যাত্রায় শেয়ার বাজারে লগ্নির জন্য তহবিলের চাহিদা বাড়ার হাত ধরেই বাড়বে টাকার দাম। বিদেশি লগ্নিকারীদেরও ভারতের বাজারের প্রতি আস্থা বাড়লে তাঁরা আগ্রহী হবেন নতুন করে শেয়ার কিনতে।
বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং বিয়ের মরসুমে ভারতে চাহিদা বাড়ার হাত ধরে এ দিন আবারও দামে নজির গড়ল সোনা। মুম্বই বাজারে পাকা সোনা প্রতি দশ গ্রামে ২৭০ টাকা বেড়ে ছুঁয়েছে ৩০,৪২০ টাকা। একই পরিমাণ বেড়ে গয়নার সোনা এই প্রথম গয়নার সোনাও পেরিয়ে গেল ৩০ হাজার টাকা। কলকাতার বাজারেও পাকা সোনা ২৫৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০,৩০০, চেন্নাইয়ে ৩০,২৪০ টাকা। |