সিদ্ধান্ত কাশ্মীর পর্যটন বিভাগের
বাড়িতে পর্যটকদের ‘আশ্রয়’ দিলেই সরকারি অনুদান
ভূস্বর্গ এখন শান্ত। তাই সেখানে পর্যটকের ঢল। পরিসংখ্যান বলছে, এই মরসুমে ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ পর্যটক এসেছেন কাশ্মীর উপত্যকায়। গত বছরের তুলনায় যা ৬০ শতাংশ বেশি। ভিড় উপচে পড়ছে শ্রীনগরের হোটেলগুলিতে।
আর সেই ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন এখানকার হোটেল মালিকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জুনের শেষ পর্যন্ত ছোট-বড় প্রায় সব ক’টি হোটেল, গেস্ট হাউস ইতিমধ্যেই ‘বুকড্’। ফলে বুকিং না করে যাঁরা আসবেন, তাঁরা কোথায় থাকবেন, তা নিয়েই থেকে যাচ্ছে এক বিরাট প্রশ্নচিহ্ন।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন। এই অবস্থায় একটি নতুন প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যটন বিভাগ। যে সব স্থানীয় বাসিন্দা তাঁদের বাড়ির একটি অংশ পর্যটকদের থাকার জন্য ছেড়ে দেবেন, তাঁরা বছরে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান পাবেন। এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই সম্মতি জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
তবে সেই সঙ্গে পর্যটন বিভাগ এ-ও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, যাঁরা বাড়ি ভাড়া দেবেন, পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্তের বিষয়টি তাঁদের সবার আগে দেখতে হবে। বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার চল কিন্তু সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আছে।
“আমাদের এখানে এখন পর্যটকদের থাকার জায়গার খুব অভাব। তাই কিছু স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে আপাতত পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করার কথা আমরা ভেবেছি। যাঁরা আসবেন, তাঁরা যাতে ওখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান, তা আমরা অবশ্যই দেখব,” বললেন জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন বিভাগের অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর আজমত খান। শুধু তাই নয়, শ্রীনগরের আশপাশের কিছু অঞ্চলে নতুন করে হোটেল তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে পর্যটন বিভাগ। পাম্পোর, বাইপাস রোড আর পান্থা চকে নতুন হোটেল খোলার ক্ষেত্রেও সরকার ভর্তুকি দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আজমত বললেন, “হরি পার্বত কেল্লার পাশের জায়গাকেই আমরা সবার আগে প্রাধান্য দিচ্ছি। পুরনো শহরের মধ্যে লাল বাজার, হজরতবাল ও নতুন এলাকার সনত নগর ও রাওয়ালপোরাও আমাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে আছে।”
তবে এ সবের পরেও একটা কাঁটা থেকেই যাচ্ছে। খাস শ্রীনগরের রাজবাগ, খইয়াম, ডাল গেট এলাকার বেশ কিছু বাড়ি চড়া দামে পর্যটকদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সেখানে করা হচ্ছে বটে। তবে কোনও ক্ষেত্রে একটি ঘরের জন্য চাওয়া হচ্ছে দু’হাজার টাকা। কোথাও আবার তা দশ হাজারও ছাড়াচ্ছে। আগে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাকে ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য লাইসেন্স দিত রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বন্ধ। আর সেই সুযোগেই পর্যটকদের রীতিমতো লুঠ করছে কিছু মানুষ।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়? পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ খান বললেন, “প্রতিটি হাউসবোট বা দোকানে যদি ভাড়ার নির্দিষ্ট একটা চার্ট লাগানো থাকে, তা-হলেই বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে লাগাম আনা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে পর্যটকরাও জানতে পারবেন, কোন জিনিসের জন্য কোথায় ঠিক কত টাকা দিতে হবে। আর সেটা হলে আমাদের নতুন প্রকল্পও সফল ভাবে রূপায়ণ করা সম্ভব হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.