খুনের অভিযোগে ধৃত এক যুবককে আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল খয়রাশোল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুধবার বীরভূমের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে দুবরাজপুর আদালত।
গত ২৮ মে খয়রাশোলে খুন হন আনিসুর রহমান ও সুখেন্দু সরকার নামে তৃণমূলের দুই নেতা-কর্মী। ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ মনোজ নামে এক যুবককে ৭ জুন রাতে কাঁকরতলা থানা এলাকার বড়রা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে খয়রাশোল থানার পুলিশ। ৮ জুন সাত দিন পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। বিচারক ধৃতের পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে।
পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর অভিযুক্তকে আরও সাত দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়ে বুধবার মনোজকে ফের দুবরাজপুর আদালতে হাজির করায় খয়রাশোল পুলিশ। এ দিন অভিযুক্তের আইনজীবী বিচারকের কাছে তাঁর মক্কেলকে পুনরায় পুলিশি হেফাজতে না পাঠানোর আবেদন করেন। কারণ হিসাবে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মক্কেলের উপরে পুলিশ অত্যাচার করেছে বলে জানান আইনজীবী। এমনকী অভিযুক্তের শরীরে মারধরের ক্ষতচিহ্নও দেখান। দেখানো হয় আদালতে পেশের আগে মনোজের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টও। রিপোর্টে রক্তপাতের উল্লেখ আছে। এর পরেই বিচারক পুলিশ সুপারকে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী মণিলাল দে বলেন, “পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন সুপ্রিম কোর্টের ‘গাইডলাইন’ মানা হয়নি বলে আদেশনামায় উল্লেখ করেছেন বিচারক।” এ দিন বিকালে পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা অবশ্য বলেন, “এখনও পর্যন্ত আদালতের এ রকম কোনও নির্দেশ হাতে পাইনি। পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেব।” |