|
|
|
|
দুর্নীতির অভিযোগ, শ্রীপুর এরিয়ায় বিক্ষোভ বাসিন্দাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
এরিয়ার দু’টি কোলিয়ারিতে উৎপাদন চালু, আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ-সহ বিভিন্ন দাবিতে জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়া কার্যালয়ে আসানসোল পূর্বাঞ্চল নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন খনিকর্মী ও বাসিন্দারা। বিক্ষোভ চলাকালীন জিএম সুজিত সরকারের সঙ্গে বচসা বাধায় বিক্ষোভকারীদের একাংশ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত জিএম লিখিত আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
বুধবার এই বিক্ষোভে সামিল হন আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি, দুই মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম ও লক্ষ্মণ ঠাকুর, বোরো চেয়ারম্যান ভরত দাস, স্থানীয় কাউন্সিলর বিনোদ হেমব্রম। শ্রমিক নেতা বাদল মিশ্রের অভিযোগ, “এই এরিয়ায় দু’টি কোলিয়ারির পর্যাপ্ত কয়লা থাকা সত্ত্বেও উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া হচ্ছে। কালিপাহাড়ি কোলিয়ারির পিটে বালি ভরার জন্য যে দরপত্র ডাকা হচ্ছে তার বিল মিটিয়ে দেওয়া হলেও বালি ভরাট হচ্ছে না। আধুনিক প্রজেক্ট ধাদকা ইনক্লাইনেও তিন মাস কয়লা তোলার পরে উৎপাদন বন্ধ। এছাড়া কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হচ্ছে। অধিকর্তাদের বিরুদ্ধে দুনীর্তির অভিযোগ থাকলেও কোনও তদন্ত হচ্ছে না। ছাতিমডাঙায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবার পুনর্বাসন পায়নি।” প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁরা পৃথক তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। ওই কমিটিতে কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের রাখারও দাবি জানানো হয়।
জিএম কোনও ভাবেই শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের কমিটিতে না চাওয়ায় বিক্ষোভকারীদের ক্ষুব্ধ হয়ে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তবে বাদলবাবু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “বিক্ষোভকারীদের বিপাকে ফেলতে এরিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিআইএসএফ জাওয়ানরাই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।” তাঁর কথায়, “বিক্ষোভকারীদের অনড় মনোভাব দেখে জিএম তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নেওয়ার ব্যপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরে বিক্ষোভ থামে।” জিএম সুজিত সরকার ফোন না ধরলেও এরিয়া কার্যালয়ের এক অধিকর্তা জানান, আলোচনা করে দাবিগুলি পূরণ করা হবে। এ দিন ভাঙচুরের ঘটনায় কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা বিভাগকে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। |
|
|
|
|
|