|
|
|
|
ধৃত দোকানদারও |
কাশির সিরাপ পাচার করতে গিয়ে ধৃত পাঁচ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার হতে পারে এমন একটি কাশির সিরাপ ভর্তি গাড়ি আটক করল কাঁকসা থানার পুলিশ। সিরাপ পাচারের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল থেকে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে পানাগড়ের ১১ মাইল এলাকায় সিরাপ বোঝাই গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সেটির সঙ্গে ছিল আরও একটি গাড়ি। পুলিশ দু’টি গাড়িই আটক করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ধৃতদের নাম রমজান শেখ, আমজাদ খান, ফারুক আমিন, ওলিউল হাসান কবীর শেখ, ও গৌতম সরকার। প্রথম চারজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার ধনীরামপুর গ্রামে। শেষ জন ওই থানা এলাকারই নরসিংহপুরের বাসিন্দা। পাঁচ জনেরই বয়স ১৮ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে। আসানসোলের রাহা লেন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকেও। তাঁর দোকান থেকেই সিরাপ পাচার হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে। |
|
উদ্ধার হওয়া ওষুধ। কাঁকসা থানার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আসানসোল শহরের একটি ওষুধের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ কাশির সিরাপ মুর্শিদাবাদে পাচার করা হচ্ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হত। এই ঘটনায় একটি চক্র জড়িত বলে আমাদের সন্দেহ।” বুধবার গাড়িতে ধৃত পাঁচ জনকে দুর্গাপুর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে এর মধ্যে তিন জনকে ৯ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের জেরা করে চক্রের পান্ডাদের ধরার চেষ্টা চলছে। বাকি দু’জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি নেশাদ্রব্য হিসেবে একটি নির্দিষ্ট কাশির ওষুধ পাচারের কারবার বেড়ে গিয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। ইতিমধ্যে জেলার অন্যত্রও ওই সিরাপ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার রাতে দার্জিলিং মোড় ও ১১ মাইল এলাকার মাঝে একটি হোটেলের কাছে মাল বোঝাই গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। সঙ্গে ছিল আর একটি গাড়ি। আরোহীরা হোটেলে খেতে নেমেছিল। পুলিশের দাবি, তল্লাশি চালাতে গেলে প্রথমে তারা বাধা দেয়। যাতে তল্লাশি চালানো না হয় তার জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকাও দিতে চায়। গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে কাশির সিরাপের ৭৫টি বাক্স মেলে। প্রতিটিতে ৫০টি করে শিশি ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ওষুধ আটক হয়।
পুলিশের ধারণা, বেশ কিছু দিন ধরেই কাশির ওষুধ পাচারের জন্য আসানসোল থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি ‘করিডর’ খোলা হয়েছে। এক বা একাধিক চক্র সক্রিয়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে। |
|
|
|
|
|