|
|
|
|
ইসিএল |
‘তদন্ত চলায়’ বকেয়া আটক, মেটানোর নির্দেশ আদালতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত চলায় দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে এক অফিসারের অবসরকালীন প্রাপ্র্য বকেয়া আটকে রেখেছিল ইসিএল। সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
ইসিএল সূত্রে জানা যায়, সংস্থার সদর দফতরের চিফ ম্যানেজার (পার্সোনেল) এগজিকিউটিভ এস্ট্যাবলিশমেন্ট পদ থেকে ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসর নেন বিন্ধেশ্বরপ্রসাদ সিংহ। তার দিন চারেক আগে তাঁর দফতরের এক কর্মীকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বদলির নির্দেশ দিলেও বিন্ধেশ্বরবাবু তাঁকে যেতে দেননি, এই অভিযোগ তুলে তাঁর জবাবদিহি দাবি করেন কর্তৃপক্ষ। সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বিন্ধেশ্বরবাবুর দফতরে সেই সময়ে পার্সোনেল ম্যানেজার এগজিকিউটিভ পদে কর্মরত তমাল রায়কে ডিরেক্টর পার্সোনেল সুশীলকুমার শ্রীবাস্তব ২০০৯-এর ২৬ ডিসেম্বর বদলির নির্দেশ জারি করেন। কিন্তু তমালবাবু নতুন পদে যোগ না দেওয়ায় ২৭ জানুয়ারি ডিরেক্টর পার্সোনেল বি পি সিংহের কাছে জানতে চান, কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো তমালবাবুকে ছাড়েননি তিনি। বিন্ধেশ্বরবাবুর দাবি, তিনি সদর কর্তৃপক্ষকে লিখিত জবাবে জানান, ঝাড়খণ্ডে সংস্থার রাজমহল প্রকল্পে উৎপাদন ও খরচ নিয়ে অসঙ্গতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিলেন তমালবাবু। সেই তদন্ত শেষ না করে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হলে সংস্থার আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিন্ধেশ্বরবাবু অভিযোগ করেন, এর পরে তিনি অবসর নিলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, এই ‘অজুহাত’ দেখিয়ে প্রাপ্য বকেয়া আটকে রাখে ইসিএল। এর পরেই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
ওই অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, ইসিএলের তরফে হাইকোর্টকে জানানো হয়, তারা এ ব্যাপারে ‘কোল ইন্ডিয়া ডিসিপ্লিনারি অ্যাপিল’ আইনের ৩৪.২ এবং ৩৪.৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে। এই দুই ধারা অনুযায়ী, কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত অবসরের আগে শেষ না হলে তার পরেও তা চলতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে বকেয়াও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। পার্থবাবু জানান, গত ৮ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জানান, বিন্ধেশ্বরপ্রসাদ সিংহের বিরুদ্ধে কোনও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে না। তাই কোল ইন্ডিয়ার ওই দুই ধারা এ ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হওয়ার কথা নয়। ৪ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ এখনও তাঁরা পাননি। তা পাওয়ার পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনজীবী পার্থবাবুর দাবি, যেহেতু ৯ মে থেকে আদালতে কর্মবিরতি চলছে তাই হয়তো এখনও ইসিএল নির্দেশ হাতে পায়নি। বিন্ধেশ্বরবাবু বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করায় এই বিপত্তিতে পড়েছি। আদালতের নির্দেশে আমি খুশি।” |
|
|
|
|
|