এক ঝলকে...
পৃথিবী
কাঠমন্ডু ওয়াশিংটন ডি সি লাসা দ্য হেগ ব্যাঙ্কক
• নেপালে চার বছরেও সংবিধান তৈরি হল না। চার বার তারিখ পিছনোর পর স্থির হয়েছিল, রবিবার ২৭ মে-র মধ্যে সংবিধান রচনার কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু, দেশের রাজনীতিকরা এ বারও ব্যর্থ। সংসদ ভেঙে দিলেন প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই। নভেম্বরে নির্বাচন হবে, ঘোষণা করে বললেন, আপাতত তত্ত্বাবধায়ক সরকারই কাজ চালাবে। গোটা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল। এরই মধ্যে কাঠমন্ডুর রাস্তায় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত বিচারপতি রানা বাহাদুর বামকে গুলি করে হত্যা করল।

• লাসা-য় চিনের কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গায়ে আগুন দিলেন দুই তিব্বতি যুবক। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে প্রথম।

• লাইবেরিয়ায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলর-এর ৫০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের ওয়ার ক্রাইম কোর্ট। ১৯৯১-৯২ সালে টেলর যখন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, তখন নাকি তিনি সিয়েরা লিয়েন-এর গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের মদত দিয়েছিলেন।

• ২৪ বছর পরে সু চি বিদেশ সফরে গেছেন মানেই কি মায়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত? স্বয়ং সু চি-ই সন্দিহান। তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে নিজের ভাষণে প্রেসিডেন্টের সদিচ্ছায় তাঁর ভরসা আছে জানিয়েও বললেন, আরও যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের এবং মিলিটারির কথাও মাথায় রাখা ভাল।

• নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন রিপাবলিকান মিট রমনি। রমনি ধর্মে মরমন, ক্রিস্টান নন। তাঁকে নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন: এক জন মরমন কি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন? ধর্মটি স্থাপিত হওয়ার পর ২০০ বছরেও তা ঘটেনি। আবার, এক জন মরমন যে এত দূর আসতে পেরেছেন, সেটা কি এই ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার প্রমাণ নয়?
দামাস্কাস
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়ল। হাউলা গণহত্যার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ মোট ন’টি দেশ থেকে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিরিয়ার প্রশাসন দাবি করল, হাউলার গণহত্যা আসলে বিদ্রোহী ফ্রি সিরিয়ান আর্মিই ঘটিয়েছে। এ দিকে, বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি কোফি আন্নানের (ছবি) কাছে দাবি জানিয়েছে যে তিনি ঘোষণা করুন, তাঁর শান্তিপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আন্নান বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি পরিকল্পনাটি যে ভাবে বাস্তবায়িত করার কথা ছিল, সিরিয়ায় মোটেই তা হচ্ছে না। দেশটি চরম বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে। আল-আসাদের প্রশাসনের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, কিন্তু তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন আর রাশিয়া। তারা সিরিয়াকে আরও সময় দেওয়ার পক্ষপাতী।
জেরুসালেম
ইজরায়েলে হামলা চালাতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে মারা গিয়েছেন, এমন ৯১ জনের দেহ প্যালেস্তাইনকে ফেরত দিল ইজরায়েল। ১৯৭৫ সালের মৃতদেহও আছে। এত দিন ইজরায়েলের বিশেষ সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ ছিল মৃতদেহগুলি। ইজরায়েলের জেলে ১,৫০০-র বেশি প্যালেস্তাইনি বন্দি অনশনে বসেছিলেন। তাঁদের বিভিন্ন দাবির মধ্যে মৃতদেহ প্রত্যর্পণের দাবিও ছিল। কার্যত সেই চাপেই রাজি হল জেরুসালেম। কারণ, অনশনে কেউ মারা গেলে প্যালেস্তাইনের প্রবল এবং সহিংস প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত। ইজরায়েল অবশ্য বলছে, এই প্রত্যর্পণ তাদের সরকারের সদিচ্ছার প্রতীক। গাজায় এই মৃতদেহগুলিকে পূর্ণ সামরিক সম্মান দেওয়া হবে, তার পর ফের কবর দেওয়া হবে।

বেজিং
দেশের নিরাপত্তা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আমলাকে গ্রেফতার করল চিনের পুলিশ। অভিযোগ মারাত্মক: তিনি নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর। বেজিং-এর গোপনতম তথ্য চালান করছেন ওয়াশিংটন ডি সি-তে। অভিযোগটি যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে গত সিকি শতাব্দীতে এটাই মার্কিন-চিন সম্পর্কে বৃহত্তম গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা। বেজিং-এর এক সূত্র বলছে, যে পরিমাণ খবর পাচার করা হয়েছে, তার অভিঘাত মারাত্মক। গত কয়েক মাসে চিন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে বেশ কয়েকটি ধাক্কা লেগেছে। শেষতম উদাহরণ চেন গুয়াংচেং। আরও এক দফা ধাক্কার প্রতিক্রিয়া কী হবে?

কিয়েভ
ইউরো কাপের খেলা দেখতে ইউক্রেন যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? আপনি কালো বা এশীয় মানুষ হলে হয়তো কফিনে ফিরবেন। বললেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার সল ক্যাম্পবেল। ইউক্রেনে ফুটবল মাঠে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে গোটা ইউরোপ উত্তাল। বহু দেশের রাজনৈতিক প্রধানরা ইউরো কাপ বয়কট করার সিদ্ধান্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করছে এক দল বর্ণবিদ্বেষী গুন্ডা।

শেষ পাত
গোটা দুনিয়ার কোথায় কোন জঙ্গিকে মারতে হবে, তা স্থির করছেন স্বয়ং বারাক হুসেন ওবামা। গত বছর ওসামা বিন লাদেন-কে হত্যা করার সিদ্ধান্তটি যে তাঁরই ছিল, সেটা তখনই ফলাও করে জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। আফগানিস্তানে আল কায়দার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা শকর আল-তাইফি ন্যাটোর হানায় নিহত হলেন। সেই হত্যাকাণ্ডের ছকও নাকি ওবামার নিজের তৈরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসেও কোনও প্রেসিডেন্ট এমন স্বহস্তে ‘কিল লিস্ট’ তৈরি করেননি। শেষ পর্যন্ত করলেন কিনা শান্তির জন্য নোবেলজয়ী ওবামা? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুর শেষ রাখবেন না তিনি, স্থির করেছেন। ক্ষমতায় কী না হয়, কী না হয় চেষ্টায়!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.