নরেন্দ্র মোদীর আচরণের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি তাঁর প্রধানমন্ত্রীর পদের দাবিদার হয়ে ওঠার চেষ্টাকেও গুরুত্ব দিল না রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। নিজেদের মুখপত্রে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মের তীব্র সমালোচনা করে সঙ্ঘের তরফে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে কোনও নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার প্রয়োজন নেই। বিজেপি-তে অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্যও বিজেপির অন্য নেতাদের সঙ্গে মোদীকে নিশানা করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই দলের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য সক্রিয় মোদী। আর তা করতে গিয়ে দলেরই একটা অংশের কোপে পড়েছেন তিনি।
একই ভাবে নিজের মতো করে দল চালাতে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ীর। নিজের ব্লগে
পরোক্ষে গডকড়ীর সমালোচনা করেছেন প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত কাল বিজেপির মুখপত্রে গডকড়ী-মোদীর কাজকর্মের কড়া সমালোচনা করা হয়। তার পরেই সঙ্ঘের মুখপত্রেও কড়া সমালোচনার মুখে পড়লেন মোদী। দলের অন্য একাধিক নেতাও অবশ্য বাদ যাননি। বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য তোপের মুখে পড়েছেন বেশ কয়েক জন নেতা। বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে সঙ্ঘের এ ভাবে সরব হওয়াকে যথেষ্ট অর্থবহ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সঙ্ঘের মুখপত্রের বক্তব্য, বিজেপি-র অনেক নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হয়ে উঠতে চান এবং তাঁদের যোগ্যতাও আছে। কিন্তু, ২০১৪ সালের ভোটের ফল বেরনোর পরেও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। স্পষ্টতই এই মন্তব্যের অন্যতম নিশানা মোদী। তাঁর কাজকর্মের ধরন নিয়েও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে সঙ্ঘের মুখপত্রে।
সম্প্রতি মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেশুভাই পটেল-সহ গুজরাতের একাধিক বিজেপি নেতা। মোদীর চাপে দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সঞ্জয় জোশীর ইস্তফার ঘটনা কেশুভাইদের ক্ষোভে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে। নিজের রাজ্যেই দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে না পারার জন্য এবং জোশীকে সরানোর প্রসঙ্গ তুলে মোদীর সমালোচনা করা হয়েছে মুখপত্রে। ‘সঙ্ঘের আদর্শে অনুপ্রাণিত’ হয়েও কেন তিনি সঞ্জয় জোশীর উপরে তাঁর ‘ক্রোধ’ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। |