সীমান্ত নিয়ে বিরোধ থাকলেও, তীর্থযাত্রায় রয়েছে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস।
কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রাকে নিরাপদ এবং উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর করতে একসঙ্গে উদ্যোগী হয়েছে ভারত ও চিন। কাল মানস সরোবরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে এক দল তীর্থযাত্রী। আর ওই যাত্রীদের দিয়েই শুরু হয়েছে এই ‘সংস্কার পর্ব’।
এ বার তিরিশ বছরে পা দিয়েছে কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রা। উত্তরাখণ্ড এবং চিন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় যাত্রার ভোল সম্পূর্ণ বদলে দিতে চেয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। যাত্রার জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন লোগো, ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট। ফেসবুকের মাধ্যমে যাত্রায় উৎসাহীরা আসতে পারছেন একটি মঞ্চে। তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রাক্তন যাত্রীদের কাছ থেকে আবহাওয়া, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি পরামর্শ পাচ্ছেন বর্তমান যাত্রীরা। |
শুধু ফেসবুকই নয়। গোটা যাত্রাটিই সাজানো হয়েছে নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে। যাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কারচুপি এড়াতে কম্পিউটারের মাধ্যমে লটারি করা হয়েছে। রওনা হওয়ার আগে যাত্রীদের ‘হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউট’ থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাঁদের দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ফোন। কোনও বিপদ হলে জরুরি ভিত্তিতে যাতে হেলিকপ্টার পাওয়া যায় তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রার তিরিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব এশিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ডিজাইনার সংস্থাকে দিয়ে বিশেষ লোগো এবং নতুন ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরি করানো হয়েছে। যাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি তথ্যচিত্র। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, “ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণের চেষ্টা করা হয়েছে এ বারের তীর্থযাত্রায়।” এই বিষয়ে বেজিং যথেষ্ট সহযোগিতা করছে বলেও এ দিন জানিয়েছেন তিনি। |