কলকাতা পুলিশের ‘অমানবিকতা’য় তাদের এক বর্ষীয়ান সদস্য মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। ওই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনেরও দ্বারস্থ হবে তারা। কলকাতা পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিজেপি-র ডাকা বন্ধের সমর্থনে মিছিল করতে গিয়ে গ্রেফতার হন রামব্রিজ চৌধুরী (৬৮) নামে দলের এক সদস্য। পুলিশ তাঁকে লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে নিয়ে যায়। প্রায় ১২ ঘণ্টা সেখানে থাকার পর রাত ৮টা নাগাদ তিনি ছাড়া পান। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ শনিবার অভিযোগ করেন, লালবাজারে রামব্রিজবাবু পর্যাপ্ত পানীয় জল না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ি যাওয়ার পর তাঁকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। পর দিন, শুক্রবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাহুলের বক্তব্য, “লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে প্রচুর সংখ্যক ধৃতদের জন্য মাত্র দু’টি পাখা ছিল এবং পানীয় জল ছিল না। এই প্রচণ্ড গরমে পুলিশের এই অমানবিক আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত! আমাদের চৌরঙ্গি ব্লক কমিটির সদস্য রামব্রিজবাবুর মৃত্যুর জন্য পুলিশের অমানবিকতাই দায়ী। আমরা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।” কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম অবশ্য বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত আটটায় বন্ধ সমর্থকদের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখনও পর্যন্ত কারও অসুস্থতার কোনও খবর আসেনি। পরবর্তী কালেও কারও তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিজেপি-র ডাকা বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৯ জন এখন জেল হেফাজতে। রাহুলের দাবি, ওই ২৯ জন কোথাও ভাঙচুর করেননি। কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ মিছিল বা অবরোধ করছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করেছে। এই প্রেক্ষিতে রাহুল বলেন, “এত প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার এ রাজ্যে কখনও আসেনি।” সরকারের ‘দমনমূলক’ নীতি এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২২ জুন ‘জেল ভরো’ আন্দোলন করার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন রাহুল।
|