বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করে ইডেনে আইপিএল-এর টিকিট বিক্রির ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে বৌবাজার-জোড়াসাঁকো এলাকা থেকে প্রতারণার অভিযোগে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মুদাস্সর নজর ওরফে গুড্ডা (৩০), নইম আহমেদ (২৫) ও মহম্মদ ফইম (২০)। ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গত বছর জুন মাসে এই চক্রে জড়িত অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছিল সাইবার ক্রাইম শাখা। আইপিএল-এর টিকিট বিক্রির সঙ্গে যুক্ত বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। পুলিশের দাবি, গুড্ডাই এই চক্রের পাণ্ডা। বিদেশি, মূলত মার্কিন নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডের খুঁটিনাটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনে নিত সে। এর পর সেই সব তথ্যের সাহায্যে অনলাইনে আইপিএল-এর টিকিট কাটত অভিযুক্তরা। এ ভাবে টিকিট কাটার ফলে বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থার সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ এবং দু’টি ডেটা-কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
|
খাস কলকাতায় একটি বেআইনি অস্ত্র পাচার চক্রের হদিস মিলেছে। বেহালা, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুরে দুষ্কৃতীদের দেশি পিস্তল সরবরাহ করত তারা। দু’জন অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছে বেহালা থানার পুলিশ। এই চক্রের উৎসে অবশ্য এখনও পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। তবে ধৃত দুই অস্ত্র কারবারি হাওড়ার রামরাজাতলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতরা হল, মন্টু সর্দার ও নরেশ হালদার। তাদের কাছ থেকে দু’টি দেশি পিস্তল, কয়েকটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, “মন্টু গাড়ি চালায়। ‘উপরি’ রোজগারের আশায় ভগ্নিপতি নরেশকেও এই কারবারে নিয়ে আসে সে।”
|
আলিপুরে অতিরিক্ত জেলাশাসককে (এডিএম) তাঁরই দফতরে ঢুকে নিগ্রহ করার ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে শনিবার পুলিশি হেফাজত থেকে ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। আদালতের নির্দেশে তিন অভিযুক্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক তন্ময় বিশ্বাস, মলয় চক্রবর্তী এবং সাধন বসাককে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রেখে এ দিন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় বসুর অফিসে ঢুকে সরকারি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির ওই তিন নেতা ও তাঁদের সঙ্গীরা। ১০ জনের বিরুদ্ধে সঞ্জয়বাবু আলিপুর থানায় এফআইআর করেন। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, অতিরিক্ত জেলাসাশককে নিগ্রহ এবং তাঁকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের হয়।
|
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত দেবলীনা চক্রবর্তীকে শনিবার ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির এই নেত্রীকে এ দিন জেল হাজত থেকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হলে তাঁর জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য হয়। ২০১০ সালের ২৯ জুন বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মধুসূদন মণ্ডল, সিদ্ধার্থ মণ্ডল, শচীন ঘোষাল-সহ পাঁচ মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও অভিযোগ এনে চার্জশিট পেশ হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই থেকেই তাঁরা জেল হাজতে রয়েছেন।
|
সোদপুরের বিধান পল্লীতে শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ একটি ফ্ল্যাটে এক ছাত্রের দেহ পাওয়া যায়। মৃতের নাম, শুভ সরকার (২০)। সে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ত। সোদপুরের ফ্ল্যাটে বাবার সঙ্গে থাকত সে। এ দিন রাতে ফ্ল্যটের দরজা খোলা দেখে এক প্রতিবেশী ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন কম্পিউটার টেবিলে মাথা রেখে শুভ্রর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। ঘরে রক্ত। শুভ্র-র বাবা ফ্ল্যাটে ছিলেন না। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। |