এ এক অন্য ‘কহানি’। সেখানে বিদ্যা বালন যেমন আছেন, আছেন তাঁর ‘কহানি’র কয়েক জন সহশিল্পীও। আর আছেন আরও অনেক নতুন চরিত্র। তবে প্রত্যেকেই একেবারে অন্য ভূমিকায়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০ হাজার শিশুকে অপুষ্টির অন্ধকার থেকে সুস্থ ভবিষ্যতে পা রাখার স্বপ্ন দেখাতে অন্য ‘কহানি’র এই অভিনব চিত্রনাট্যে ওঁরা সবাই শরিক। যে চিত্রনাট্য পিছিয়ে পড়া এই ছেলেমেয়েদের স্বপ্নের উড়াল দেওয়ার শক্তি জোগাল ১৪ জন প্রথিতযশা শিল্পীর ছবি আর ভাস্কর্য বিক্রি করে পাওয়া টাকায়। |
চারটি চরিত্র: কলকাতায় বিদ্যা বালনের সঙ্গে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, নিত্য গঙ্গোপাধ্যায় ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।
উপলক্ষ এবিপি, স্মিথক্লাইন বিচ্যাম এবং সিনি-র উদ্যোগে ‘হরলিক্স আহার অভিযান’। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
এবিপি-কে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন বস্তির চার হাজার এবং উত্তরবঙ্গের চা বাগানের ছ’হাজার অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ‘স্মিথক্লাইন বিচ্যাম’ সংস্থার একটি ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ ‘হরলিক্স আহার অভিযান।’। এ কাজে তারা পাশে পেয়েছে শিশু ও মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা ‘সিনি’ সংস্থাকেও। অভিযানের শরিক হওয়ার সাক্ষ্য রেখে কলকাতার ১৫৪টি স্কুলের প্রায় ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রীও অপুষ্টি দূর করার জন্য অঙ্গীকার নিয়ে রং-তুলি ধরেছিল।
মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিল্পীর আঁকা ছবির আবরণ উন্মোচন করলেন অভিযানের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ বিদ্যা বালন। অভিযানকে সফল করে তার আগেই অবশ্য সব ছবি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। হরলিক্স-এর প্রতিটি বড় বোতল বিক্রির টাকা থেকে ১ টাকা করে সংগ্রহ করে যোগ করা হবে ছবি ও ভাস্কর্য বিক্রির ওই টাকার সঙ্গে। তার পরে সেই টাকায় ১০ হাজার শিশুর পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা হবে। পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষ করে কলকাতাকে যিনি নিজের ‘দ্বিতীয় ঘর’ বলে বিশ্বাস করেন, সেই বিদ্যা বলেই ফেললেন, “এ রাজ্যের সঙ্গে আমার সম্পর্ক মুখে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তাই এখানে এমন একটি কাজে জড়িত থাকাটা আমার কাছে সৌভাগ্যের।” |
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীর পেন্টিং দেখছেন বিদ্যা। নিজস্ব চিত্র |
একে নিছক কর্পোরেট সংস্থার ‘সামাজিক দায়’ বলাটা ভুল মূল্যায়ন হবে বলে মনে করেন এবিপি-র প্রধান সম্পাদক অভীক সরকার এবং স্মিথক্লাইন বিচ্যামের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জুবেইর আহমেদ। দুঃস্থ-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়তে যে সংস্থা ইতিমধ্যেই ‘টেলিগ্রাফ এডুকেশনাল ট্রাস্ট’ তৈরি করেছে, তার শরীরের ডিএনএ-তে বরাবরই মানবিক হওয়ার তাগিদ প্রবাহিত বলে মন্তব্য করেন অভীকবাবু। আর জুবেইর আহমেদের কথায়, এমন একটা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁরা ক্রেতাদের সঙ্গে সংস্থার সম্পর্ককে অন্য মাত্রা দিতে চান। |