বাড়ির উঠোনে ঘুমিয়ে থাকা এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করল আততায়ীরা। মঙ্গলবার রাতে আড়শা থানার কাঁটাডি বস্তিতে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম পবন দিগার
(৪০)। বুধবার তৃণমূল নেতৃত্ব নিহতের বাড়িতে যান। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য সিপিএম পবনকে খুন করেছে। যদিও সিপিএম নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত্রে বাড়ির উঠোনে দড়ির খাটিয়ায় ঘুমোচ্ছিলেন পবনবাবু। সেই সময় আততায়ীরা ছোট্ট পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। আততায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামেরই কেউ দেখে ফেলে। তিনি চিৎকার করে পড়শিদের ডাকাডাকি করেন। পড়শিরা পবনবাবুর বাড়িতে ভিড় জমান। তাঁর স্ত্রী চায়নাদেবী বলেন, “তখন বিদ্যুৎ না থাকায় চারপাশ অন্ধকার ছিল। বাইরে গোলমাল শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি ওর মুখে ও দেহে অনেক রক্ত।” পড়শিরা তাঁকে প্রথমে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বোকারোর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। |
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর অভিযোগ, “সিপিএম আগামী পঞ্চায়েত নিবার্চনকে পাখির চোখ করেছে। পবনবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আমাদের দলের হয়ে কাজ করছিলেন। পঞ্চায়েত নিবার্চনের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে সিপিএম এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপের দাবি, “দায়িত্বজ্ঞান হীনের মতো মন্তব্য করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায়যুক্ত নয়।” পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের মাথায় ধারাল অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে পবনবাবুর বাড়িতে ঢুকেছিল আততায়ীরা।
|