মুর্শিদাবাদের উন্নয়নে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসককে পাশে পাচ্ছেন না সভাধিপতি। মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতি সিপিএমের পূর্ণিমা দাস, সহকারি সভাধিপতি আরএসপি-র সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল ও বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আশিস তেওয়ারি বুধবার মিলিত ভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ওই অভিযোগ তোলেন।
সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস বলেন, “তাঁদের আগাম জানানো সত্ত্বেও জেলাপরিষদের বাজেট পাশের সাধারণ সভা থেকে শুরু করে অর্থ-সহ বিভিন্ন স্থায়ী সমিতি পর্যন্ত কোনও সভাতেই জেলাশাসক থাকছেন না।” জলকষ্ট লাঘব করতে পানীয় জলের নলকূপ বসানোর জন্য স্থায়ী সমিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পূর্ণিমাদেবী বলেন, “কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর না করায় ৪ মাস ধরে ২০০টি নলকূপ গুদামবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ জেলায় দাবদাহ চলছে। প্রশানিক কর্তারা টেন্ডার না করায় জেলাপরিষদের এ বছর প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হল। প্রশানিক কর্তারা টেন্ডার না করায় ১০ শয্যার ১৮টি হাসপাতালে শৌচলয় গড়া যায়নি, বৈদ্যুতিক সংযোগও দেওয়া যায়নি। প্রশাসনিক অসহযোগিতায় ৬ কোটি টাকার সজলধারা প্রকল্পও রূপায়িত করা যায়নি। পুনরায় টেন্ডার না করায় আর আই ডি এফর তহবিলের টাকায় ৪টি রাস্তা তৈরির কাজও আটকে রয়েছেয়” জেলাপরিষদের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আশিস তেওয়ারি বলেন, “সরকারি আধিকারিকদের প্রবল অনীহার কারণে মুর্শিদাবাদ জেলার উন্নয়ন আটকে রয়েছে প্রশাসনিক লাল ফিতের গেরোয়।” জেলাশাসক রাজীব কুমার ওই অভিযোগের বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি জেলাপরিষদের নির্বাহী বাস্তুকার। ফলে সভাধিপতির কোনও বিতর্কিত কথার জবাব আমি দেব না।” তবে তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “সজলধারার ওই টাকা তো ৩-৪ বছর আগের। তা ছাড়া কলকাতা থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় এ দিনের অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং-এ যাওয়া হয়নি।” |