টুকরো খবর
স্বপ্নপূরণ নয়, বাবা-দাদার পাশে দাড়াতে চায় চন্দন
আর পাঁচ জনের মতো চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় না চন্দন। বরং তাড়াতাড়ি একটা ভাল চাকরি জুটিয়ে বাবার পাশে দাঁড়াতে চায় চন্দন। এ বছর নবদ্বীপ হিন্দু স্কুল থেকে ৬টা লেটার-সহ মাধ্যমিকে ৫৯৫ পেয়েছে সে। একাদশ শ্রেণি পেরিয়েই পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হবে বলেই ঠিক করেছে নবদ্বীপের প্রতাপনগরের চন্দন বর্মন। বাবা চিত্তরঞ্জন বর্মন ট্রলারে মাছ ধরতে বছরের বেশির ভাগ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকেন। তাঁর স্থায়ী রোজগারও নেই। ভাল মাছ পেলে তবেই কিছু টাকা হাতে আসে। বাড়িতে চার ভাইবোন আর মা। ফলে সংসার চালাতে বড় ছেলেকে কাজ করতে হয় একটি দোকানে। চন্দন মেজ। অভাবের সংসারে এত ভাল রেজাল্টের পরেও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দোটানায় সে। চন্দন বলে, “আমার আর ভাইয়ের পড়ার জন্য মাসে ৭০০ টাকা খরচ হত। কিন্তু হিসেব করে দেখেছি উচ্চ মাধ্যমিকে সেটা অনেক বেড়ে যাবে। দাদা-বাবা-মা সবাই আমার জন্য খাটছে। আমিও ওদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একাদশ শ্রেণি পাশ করেই তাড়াতাড়ি রোজগারের ব্যবস্থা করতে চাই।” অষ্টম শ্রেণি থেকেই স্কুলে প্রথম হয় চন্দন। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর পরে এখন অভাবের সঙ্গে জুঝে নিজেকে প্রতিষ্টা করাই তার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
দীপঙ্করের চ্যালেঞ্জ আজও মনে রেখেছেন শিক্ষকেরা
স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষায় ৪০-এ ২৮ পেয়েছিল দীপঙ্কর। বাড়ি ফিরে বাবাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিল ৪০-এ ৪০ই পাবে সে। ছেলের কথা মতো স্কুলে বিষয়টা বলতেই খাতায় যোগের গণ্ডগোল শুধরে দেখা গেল সত্যিই ৪০-এ ৪০। সেই শুরু। রানিনগরের কাতলামারি হাইস্কুলের দীপঙ্কর মণ্ডল কোনও পরীক্ষাতেই আর দ্বিতীয় হয়নি। মাধ্যমিকেও ৬৩৩ পেয়ে এলাকার সেরা সেই। বাবা-মা কেউই মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোননি। কাঠের দোকানের রোজগারে কোনওরকমে চলে চার জনের সংসার। বিদ্যুৎ নেই, তাই কেরোসিনের আলোতেই চলেছে পড়া। দীপঙ্কর বলে, “উঁচু ক্লাসে পড়াতে না পারলেও রাতের পর রাত আমার পাশে জেগে বসে থাকত বাবা-মা। যেটুকু করেছি সবটাই বাবা-মা আর শিক্ষকদের সাহায্যে।” দীপঙ্করের মা চন্দনা মণ্ডল বলেন, “প্রাইমারি স্কুল থেকেই শিক্ষকেরা বলতেন ও অনেক বড় হবে। এই টানাটানির সংসারে আমরা আর কতটুকু বা করতে পেরেছি ছেলেটার জন্য।” কাতলামারি হাইস্কুলের শিক্ষক মনোজ দাস বলেন, “ওর প্রথম দিনের চ্যালেঞ্জের পর থেকেই ওর উপর বাড়তি নজর রাখতাম আমরা। আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা আর একটু ভাল হলে রাজ্যে নজর কাড়ত ও।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, “দীপঙ্কর আমাদের গর্ব। ওর পাশে সবসময় আছি আমরা। আমরা চাই ও এই স্কুলেই পড়ুক উচ্চমাধ্যমিকটা।”

বড়ঞায় পিটিয়ে খুন যুবক
বচসার জেরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে কেশব ঘোষ (৩৬) নামে এক যুবককে। তাঁর বাড়ি বড়ঞার বোলপাড়ায়। বুধবার সকালে ফতেপুর মোড়ে দুই দোকান মালিকের সঙ্গে বচসা হয় কেশবের। ট্রাক্টর চালক কেশব মদ্যপ অবস্থায় এসে দুই দোকান মালিক গোলবদন বাগদি ও জটাধারী দাসের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে তারা কেশবকে বেধড়ক মারধর করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলেই মারা যান কেশব। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দুই দোকান মালিক দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। এর পরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বাসস্ট্যান্ডের ওই দোকান দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত দুই দোকান মালিক পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’’ কেশবের ভাই সাগর ঘোষ বলেন, “কী এমন হয়েছিল যে জন্য দাদাকে দিনে দুপুরে পিটিয়ে খুন করা হল? আমরা চাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।”

বাসে ডাকাতি, দুষ্কৃতীরা অধরাই
ডাকাতির তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বাসে ডাকাতির ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সাগরদিঘির মোড়গ্রামের কাছে সশস্ত্র একটি ডাকাত দল বাসে উঠে যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠ করে। চালক কানাই কুণ্ডুকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ভোজালির কোপে জখম কানাইবাবু বলেন, “ওদের কাছে রিভলভারও ছিল। জনা আটেক যুবক। সকলেরই বয়স তিরিশের মধ্যে। আমাকে হটিয়ে ওরাই বাস চালাচ্ছিল। তালাই মোড়ের কাছে বাস থামিয়ে চম্পট দেয় ওরা। বাসের ৩৫ জন যাত্রীর সকলকেই মারধর করে। এক মহিলার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও টাকা লুঠ করে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা বীরভূম থেকে এসেছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার পুলিশ সাগরদিঘির অনুপপুর থেকে দু’জনকে আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ডাকাতির সঙ্গে কারা জড়িত এখনও তা স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত চলছে। তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।”

বিমান ফিরেছে দেশে, ভারাক্রান্ত রাইগ্রাম
‘বিমানমেলা’ ভেঙে যাওয়ায় মন খারাপ গ্রামবাসীদের। গত ২৫ এপ্রিল কান্দির রাইগ্রামে জরুরি অবতরণ করেছিল একটি বাংলাদেশি যুদ্ধবিমান। দুদিন আগে বায়ুসেনার জওয়ানেরা সেটা নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই খাঁ খাঁ করছে পশ্চিমের মাঠ। এতদিনে যে মাঠের নামই হয়ে গিয়েছে বিমানতলা। বিমানটি আসার পর থেকেই ওই বিমান দেখতে, বিমানকে পাশে নিয়ে ছবি তুলতে, বেড়ে গিয়েছিল লোকের ভিড়। বাড়িতে আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল আত্মীয়দের। দিনভর কাজের পরে বিকেলে মেলায় ঝালমুড়ি, শশা, চানাচুর বিক্রি করে বেড়েছিল রোজগারও।
ফাঁকা ‘বিমানতলায়’। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় শ্রীমন্ত দাসের কথায়, “সারা দিন খেতে কাজ করার পরে সন্ধ্যেয় বিমান মেলায় শশা বিক্রি করে একটা গেঞ্জি আর প্যান্ট কিনেছি। কিন্তু এখন বিমান চলে যাওয়ায় রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” শুধু দোকানদারদের নয় মন খারাপ অন্নপূর্ণা দাস, মঞ্জু দাসদেরও। সারাদিন বাড়িতে কাজের পরে বিমানতলায় নিত্য নতুন লোক দেখে দিব্যি দিন কাটছিল তাঁদের। কিন্তু আবারও ফাঁকা হয়ে গেল মাঠ। স্কুল আর লেখাপড়ার ফাঁকে এখানেই খেলত গ্রামের শিশুরা। কিন্তু এখন অভ্যেসে বিমানতলায় এসে ঘুরে যাচ্ছে তারাও। বিমানটিকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল একটা কমিটিও। কমিটির সুব্রত ঘোষ, তমাল হাজরারা বলেন, “বিমানটিকে ঘিরে কী করে সময় কেটে পারতাম না।” কিন্তু এখন শুধু বিমানতলা নামটাতেই স্মৃতি হয়ে থাকল ওই যুদ্ধবিমান।

আদালতে পাখা ভেঙে জখম
শুনানি চলাকালীন লালবাগ সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন কোর্টের এজলাসের সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে জখম হন অনিল মণ্ডল নামে আদালতের এক কর্মী। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় আদালত বন্ধ হয়ে যায়। লালবাগ বার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক মৃন্ময় পাল বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে।”

অস্বাভাবিক মৃত্যু
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সুশান্ত কুণ্ডু (৩৫) নামে এক বাস চালকের। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের রাধানগরে। মঙ্গলবার রাতে বানর্পুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুশান্তবাবু। তাঁর সহকারী তাঁকে কৃষ্ণনগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকেরা জানান, পথেই তিনি মারা গিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রহম শেখ (৪০) নামে এক ব্যক্তির। বাড়ি ভরতপুরের দিঘিপাড়ায়। মঙ্গলবার ভরতপুর দাতলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের অনুমান, সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। একটি কালভার্টের নিচে পড়ে যান তিনি। বুধবার ভোরে তাঁর দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।

গাড়ি আটক
মঙ্গলবার চাকদহের বালিয়া বাজার থেকে একটি গাড়ি আটক করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গাড়ির চালক নিজেকে পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা তোলা আদায় করছিল।

মাধ্যমিকের ফল
নবদ্বীপ বালিকা বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী-১৪৩ উত্তীর্ণ-১৪৩ সেরা-পৌলমী সাহা (৬২৪)
নবদ্বীপ জাতীয় বিদ্যালয়: পরীক্ষার্থী- ৯৬ উত্তীর্ণ- ৮৪। সেরা- সৌমেন বিশ্বাস (৬১৫)
নবদ্বীপ হিন্দু স্কুল: পরীক্ষার্থী-১৩৯ উত্তীর্ণ-১৩৯ সেরা চন্দন বর্মণ (৫৯৫)
ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ: পরীক্ষার্থী- ২৩৩ উত্তীর্ণ-২০৯ সেরা-রাজকুমার সরকার (৫৮৯)
রা.চ.ভৌ. সারস্বত মন্দির: পরীক্ষার্থী-৭০ উত্তীর্ণ-৭০ সেরা-কৃষ্ণা দাস (৫৬৭)
বামুনপুকুর হাইস্কুল: পরীক্ষার্থী-৩৩৪ উত্তীর্ণ-২৩৬ সেরা- সাগর পাল (৫৬৫)
শ্রীগৌরাঙ্গ বিদ্যাপীঠ: পরীক্ষার্থী-৬৯ উত্তীর্ণ-৫৪ সেরা অরূপ রায় (৫৩৭)।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.