ট্রেকারের ধাক্কায় মৃত্যু মৎস্যজীবীর |
মাছ বিক্রি করতে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলা মৎস্যজীবীর। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৪ জন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এগরার এরেন্দা গ্রামে। মৃতার নাম কমলা বর (৪৫)। বাড়ি এগরার রাজেন্দ্রচক গ্রামে। জখমদের মধ্যে উত্তরপন্থাই গ্রামের বাসিন্দা চিন্তামণি ধাড়া ও চঞ্চল বরকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি দু’জন এগরা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এগরা-কেঁউটগেড়িয়া রুটের একটি ট্রেকার এগরা আসার পথে এরেন্দা পালপাড়া মোড়ের কাছে পথচারী ওই ৫ জনকে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, কিন্তু ট্রেকার-চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ধাক্কা মারে। এগরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় কমলাদেবীর।
|
দাসপুর উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী ৪ জন |
আগামী ১২ জুন দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। তৃণমূল বিধায়ক অজিত ভুঁইয়ার মৃত্যুতে এই বিধানসভা আসনটি শূন্য হয়েছে। মঙ্গলবার এই উপ-নির্বাচনেরই চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকা প্রকাশ করল ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। মহকুমাশাসক অংশুমান আধিকারী এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, উপ-নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন সিপিএমের সমর মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের মমতা ভুঁইয়া, বিজেপির অশোক মাল এবং নির্দল প্রার্থী সমর প্রধান। নির্দল প্রার্থীর প্রতীক মোমবাতি। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার এ বার ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১৪৬ জন ও মহিলা ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৪১ জন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ৩০৩টি। আর ভোটকর্মী ১৪৫৬ জন।
|
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পঞ্চায়েতে স্বজনপোষণ, বিপিএল তালিকায় দুর্নীতি বন্ধ-সহ ২৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে সিপিএমের তরফে কাঁথি ৩-এর বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তার আগে মারিশদা থেকে নাচিন্দা পর্যন্ত হয় মিছিল, পথসভা। বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন মন্ত্রী চক্রধর মেইকাপ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কাঁথি ৩ ব্লক জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস অব্যাহত। পঞ্চায়েতগুলিতেও চরম দুর্নীতি চলছে।” চক্রধরবাবু ছাড়া বক্তব্য কালীপদ শীট, হিমাংশু পন্ডা, গীতা মান্না, সত্যব্রত জানা প্রমুখ। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার খড়্গপুর শহরের কমলা কেবিনে আয়োজিত হল বামফ্রন্টের প্রতিবাদ সভা। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিএম ও সিপিআইয়ের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন অসিত বসাক, গৌতম দত্ত প্রমুখ। বক্তারা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানান।
|
খেজুরির হেঁড়িয়াতে অফিস খুলে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগে মানবেন্দ্র জানা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে কাঁথি আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন। খেজুরি থানার বেলেচট্টা গ্রামের বাসিন্দা মানবেন্দ্র বিভিন্ন পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প জাল করে জল প্রকল্প তৈরির নামে টাকা তুলত।
|
সিএবি-র ব্যবস্থাপনায় ২১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের মহকুমা-ভিত্তিক অনুর্ধ্ব ১৬ আবাসিক ক্রিকেট প্রশিক্ষণ-শিবির চলছে এগরা পুর-ক্রীড়াঙ্গণে। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে ব্যবস্থাপনায়। সহযোগী পুরসভা। কোচিং করাচ্ছেন অরুণ সরকার, রাজ্য পুলিশ ক্রিকেটদলের কোচ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহকুমা থেকে ১৯৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৪৮ জনকে বাছাই করে দু’বেলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া-সরঞ্জামও দেওয়া হয়েছে।
|
একটি মিষ্টির দোকানের গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুন ছড়িয়ে ভস্মীভূত হল পাশাপাশি ৭টি দোকান। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার নিমতৌড়ি বাজারের ঘটনা। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ দিন ওই এলাকায় হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি মিষ্টির দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে প্রথম আগুন লাগে। পরে তা পাশের দোকানগুলিতে ছড়ায়। পুলিশের অনুমান, গ্যাস ‘লিক’ করে আগুন ধরে।
|
এখনও কেন সন্ত্রাস, প্রশ্ন মন্ত্রী মানসের |
মন্ত্রী হিসেবে নয়, পুরভোটের প্রেক্ষিতে এক জন ‘সাধারণ কংগ্রেস-কর্মী’ হিসেবে রাজ্যের পূর্বতন ও বর্তমান প্রধান শাসকদলকে তুলোধনা করলেন মানস ভুঁইয়া। বুধবার হলদিয়ার এক্সাইড মোড়ে নির্বাচনী প্রচার-সভায় তিনি বলেন, “আগের আমলের সন্ত্রাস এখনও রয়েছে হলদিয়ায়। এক সময়ে লালবাহিনীর অত্যাচার চলত। এখন তো তারা নেই। তবে কারা অত্যাচার করছে? ” জোট সরকারের সেচমন্ত্রী হয়েও মানসবাবু তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “কেন আমাদের প্রার্থীদের ফেস্টুন ছেঁড়া হবে? কেন নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হবে?” মানসবাবু সাধারণ মানুষকে এই অত্যাচারের অবসানকল্পেই কংগ্রেস-প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার ডাক দেন। পুরভোটের প্রচারে শোভারামপুরে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রাম-পর্বের পরেও তো উনি লক্ষ্মণ শেঠের ছেলের বিয়েতেও গিয়েছিলেন। সবংয়ে নেত্রীর ছবি নিয়ে জিতেছেন। পঞ্চায়েত ভোটে একা লড়তে আসুন না, দেখি!” |